প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনার সাথে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৭ এর বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ( Special purpose computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৭ (part-07)
🌏 বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ( Special purpose computer 💻)🌏
প্রিয়ো পাঠক, আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সফল ও অনবদ্য আবিস্কার । কিন্তু বিশেষ ধরনের কম্পিউটার আবিস্কারের ফলে আমাদের আধুনিক সমায়কে আরো অত্যাধুনিক হিসেবে গড়ে তুলছে ।
যে কম্পিজটার সাধারনত কোন বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে বিশেষ কম্পিউটার বলে । এই কম্পিউটারের কাজের সুক্ষ্মতা ও গতি অনেক বেশি । এই কম্পিউটারগুলো সাধারনত পরিবর্তনযোগ্য নয় । যেমন- দাবা খেলা, রোগ নির্ণয়, আবহাওয়া, ভূমিকম্প, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পারমাণবিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রভূতি বিশেষ ও সূক্ষ্ম কাজে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় । এদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার হলো---
☑ ক. কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনার( Computer controlled Air- Conditioner): কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনার একটি বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রকম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনারয় ব্যবস্থা , যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তাপমার্ত্রা , আর্দ্রতা, অক্সিজেনের মার্ত্রার পরিমান প্রভূতি সেন্সর এবং সেই অনুযায়ি যন্ত্রপাতি । পরিচালনা এবং বাতাস সরবরাহের কাজ নিয়ন্ত্রন করে থাকে । বিশেষ করে কোন বাড়ি বা কারখানার আন্ডারগ্রাউন্ড বা বেসমেন্ট ফ্লোরে কনক্রিটের দেয়ালে থাকে যেখানে কাজের পরিবেশ প্রতিকুল থাকে কিংবা তাপমারত্রা গরমকালে অত্যন্ত বেশি থাকে । সেই সব স্থানে তাপমাত্রা কার্যকরভাবে কমানোর জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রের জন্য এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় । এতে বিদ্যুৎ উৎস হিসাবে সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয় । এতে ব্যবহৃত রিচার্জেবল ব্যাটারি সৌরশক্তি হতে বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে যা বাতাস প্রবাহের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতিক মোটরের ফ্যান ঘূর্ণন ও তাপমার্ত্রা বের হয়ে যাওয়ার কাজে সাহায্য করে ।
☑ খ. কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি (Computer 💻 controlled car): কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি হচ্ছে এক ধরনের স্বয়ংসম্পূর্ণ যান, যা কোন চালক ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারে । এই বিশেষ ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি তৈরিতে আর্টিফিসিয়েল ইনটিলিজেন্স (Artificial intelligence) ব্যবহার করা হয় । ফলে এই সিস্টেম গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রন,ব্যাকওয়ার্ড-ফরওয়ার্ড মুভমেন্ট, ডুয়েল-গিয়ারিং,পেছনের চাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় মোড়ে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা উচু-নিচু,সিগন্যালিং কিংবা ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেন্সার ব্যবহার ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দক্ষতার সাথে করতে পারে । আগামীতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবে এটি যুগান্তকারি ভূমিকা রাখবে বলে অনেকে মনে করেন ।
☑গ. অটোরিফ্র্যাকটোমিটার ( Autorefractometer) : অটোরিফ্র্যাকটোমিটার হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের মেশিন যা মানুষের চোখের ভিজুয়াল ক্ষমতা বা রিফ্রেকটিভ সমস্যা পরিক্ষা করা হয় । এর মাধ্যমে চশমা কিংবা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের উপযোগিতা নিরুপণ করা হয় । কারো চোখে প্রবেশকৃত আলো কিভাবে চোখে পরিবর্তিত হয় তা নির্ণয়ের মধ্যমে এই উপযোগীতা যাচাই করা হয় । একে অনেক সমায় অটোরিফ্র্যাকটর (Auto refractor) বলা হয় । এ মেশিনের মধ্যে একটি স্কিন বা মনিটর রয়েছে যার সাহায্য চোখের বিভিন্ন অংশের সূক্ষ হিসাব-নিকাশ, প্রতিফলিত আলো নিয়ন্ত্রণ, চোখের মণির আকার নিরুপণ, অক্ষ কোণের পরিমান,ভার্টিক্স দূরত্ব, চোখের পর্দার আবরণ, চোখের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন ও তথ্য্াবলি প্রদর্শন প্রভূতি করা হয় । এটে ছোট একটি প্রিন্টার রয়েছে যার সাহায্যে চোখের সকল তথ্যাবলি কাগজে প্রিন্ট করে বের করা যায় । ছবি বড় করু দেখার জন্য মেশিনের স্কিনকে NTSC ভিডিও টার্মিনালের সাথে যুক্ত করা যায় ।
☑ঘ. Magnetic resonance imaging (MRI): MRI এক ধরনের প্রাথমিক মেডিকেল ইমেজিং পদ্ধতি । যার সাহায্যে শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন এবং নিদির্ষ্ট কিছু ফাংশনের ইমেজ বা চিত্র ধারন করা যায় । রেডিওলজি সংক্রান্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এ মেশিন ব্যবহার করা হয় । শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর টিস্যুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে । বিশেষ করে Neurological(brain), musculoskeletal, cardiovascular, oncological(cancer) ইত্যাদি পর্যবেক্ষণে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে । এটি তুলনামুলক নতুন টেকনোলজি । সর্বপ্রথম এটি ইদুঁরের উপর প্রয়োগ করা হয় ১৯৭৩ সালে । মানুষের শরীরের উপর প্রথম ইমেজ নেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে । পরমানুবিক চুম্বকের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মূলত এটি তৈরি করা হয়েছিল । সে জন্য এটির প্রকৃত নাম হলো Nuclear-Magnetic resonance imaging (NMRI) । পরমাণবিক শব্দের সাথে রেডিয়েশন শব্দটি অনেকের মনে ভীতি তৈরি করে বিধায় Nuclear শব্দটি বাদ দিয়ে একে সংক্ষেপে MRI বলা হয় । যদিও এটি ব্যবহারু কোন রেডিয়েশন হয় না । অনেক সমায় একে Magnetic resonance tomography (MRT) ও বলা হয় ।
☑ঙ. রোবট (Robot): এটি একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবস্থা যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে কাজ করে । এটি একটি কম্পিউটার ব্যবস্থা যেটা মানুষ কিংবা বিভিন্ন বুদ্ধিমাত্তা প্রাণির মতো কাজ করতে পারে । এটি সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত নিদিষ্ট কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে । রোবট অত্যন্ত দ্রুত,ক্লান্তিহীন ও কার্যসম্পাদনকারি যন্ত্র । সাধারণত যেসব পরিবেশে মানুষের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব, যেমন মোটরগাড়ি কারখানাতে যেখানে কঠিন শ্রমের কাজ করতে হয় , কোন সৌর চুল্লীর কাছাকাছি যেখানে মানুষের পক্ষে থাকা অসম্ভব, খনিতে বা অন্য কোন স্থানে যেখানে অক্সিজেনের সল্পতা দেখা যায় ঐসব পরিবেশে রোবট ব্যবহার করা হয় । এর প্রটিতি কাজের জন্য পৃথক প্রোগ্রাম বা নির্দেশনা তৈরি করতে হয় এবং এর জন্য হাজার হাজার কম্পিউটার কোড ব্যবহার করা হয় । রোবটের কাজকে কীভাবে আরো সহজ করা যায় এবং কিভাবে বেশি পরিমান কাজের নির্দেশনা দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা রাত-দিন গবেষণা করে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি ব্রিটেনের কয়েকজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তায় এমন কিছু রোবট তৈরি করেছেন যা মানুষের আচার-আচারণ,ব্যবহার, কর্মপ্রতিক্রিয়া প্রভূতি অনুসরণ করে চাহিদা মোতাবেক কাজ করতে পারবে ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক,
পরের লেখাগুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
thanks
উত্তরমুছুনT
উত্তরমুছুনaro post chai
উত্তরমুছুনApnar postgulo khubei valo laglo. Thanks dada
উত্তরমুছুন