কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-02
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাদের স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাদের সাথে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০২ এর কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০২ (part-02)
🌏 কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of computer 💻)🌏
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । বিভিন্ন স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য এটি একটি বৈশিষ্ট্যমন্ডিত । এর গুরুপ্তপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো । যেমন :
(i) দ্রুতগতি ( High speed):- কম্পিউটার কল্পনাতীত ও অসম্ভব দ্রতগতিসম্পন্ন একটি ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । এটি কাজ করে ইলেকট্রোনিক সিগন্যালের মাধ্যমে । যার গতি প্রায় আলোর বেগের সমান । যার ফলে এটি প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি ডেটা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রসেস করতে পারে । মোট কথা এটি কাজ করে মাইক্রো সেকেন্ডে, ন্যানো সেকেন্ডে ও পিকো সেকেন্ডে । এখানে উল্লেখ্য,
🕐 ১ মিলি সেকেন্ড(mili second)=1/1000 সেকেন্ড=10^-3 সেকেন্ড ।
🕐 ১ মাইক্রো সেকেন্ড(micro second)=1/1000000 সেকেন্ড=10^-6 সেকেন্ড ।
🕐 ১ ন্যানো সেকেন্ড(Nano second)=1/1000000000 সেকেন্ড=10^-9 সেকেন্ড ।
🕐 ১ পিকো সেকেন্ড(pico second)=1/1000000000000 সেকেন্ড=10^-12 সেকেন্ড ।
🕐 ১ ফেমটো সেকেন্ড(Femto second)=1/1000000000000000 সেকেন্ড=10^-15 সেকেন্ড ।
🕐 ১ অ্যাটো সেকেন্ড(Atto second)=1/1000000000000000000 সেকেন্ড=10^-18 সেকেন্ড ।
(ii) সূক্ষ্মতা (Accuracy):- হিসাব-নিকাশ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত ও সূক্ষ্মতার কোন বিকল্প নেই । আধুনিক কম্পিউটার গুলো কাজ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে । ফলে খালি চোখে দেখা যায় না এমন বস্তুর ক্ষেত্রেও অনেক সূক্ষ্ম ও জঠিল হিসাব-নিকাশ করা যায় । অর্থাত,গানিতিক হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে দশমিকের পর যত ঘর পর্যন্ত প্রয়োজন তা নিয়ে ফলাফল তৈরি করা যায় ।
(iii) যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত (Logical decision):- কম্পিউটার একটি প্রোগ্রামনির্ভর স্বতন্ত্র ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । সঠিক এবং দক্ষ প্রোগ্রাম ব্যাবহারের মাধ্যমে এটির সাহায্য দ্রুত ও নির্ভুল যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা যায় । ফলে অনেক জঠিল ও র্দীঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বৈজ্ঞানিক গবেষনার জন্য কম্পিউটারের সমকক্ষ্য যন্ত্র নাই বল্লেই চলে ।
(iv) মেমরি (Memory):- কম্পিউটারের যে অংশে বিভিন্ন ধরনের তথ্য,উপাত্ত সঞ্চায় করে রাখা হয় তাকে স্মৃতি বা মেমরি বলে । কম্পিউটারের মেমোরি বিশাল ও ব্যাপক । এখানে যতদিন ইচ্ছা সঞ্চিত বিষয়বস্তুকে অবিকৃত ও অবিকল অবস্থায় রাখা যায় । আর এটির বিশেষ সুবিধা হলো- এখানে ব্যাপক তথ্য ধারন করা যায়, ওজনে হালকা,দামে সস্থা এবং সহযে এক স্থান হতে অন্যস্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় । ফলে বর্তমানে এনসাইক্লোপিডিয়া,উইকিপিডিয়া,ব্রিটেনিকা,বাংলাপিডিয়া এবং পৃথিবী খ্যাত বড় বড় লাইব্রেরির ডিজিটাল সংস্কারন তৈরি সম্ভব হয়েছে ।
(v) ক্লান্তিহীনতা (Diligence):- উপযুক্ত পরিবেশে সঠিক পন্থায় দীর্ঘক্ষন কাজ করলেও কম্পিউটারের প্রাপ্ত ফলাফলে কোন ধরনের বিকৃতি বা অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয় না । অর্থাত এটি একটানা নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারে । কোন ধরনের ক্লান্তিবোধ করে না । এ কারনে কম্পিউটারের মাধ্যেমে বছরের পর বছর একাগ্রচিত্তে ও নির্বিঘ্নে কাজ করা যায় ।
(vi) বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability):- কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্ভর সূক্ষ্ম ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । এটি কাজ করে গাণিতিক সূত্রের উপর নির্ভর করে । অনুমাননির্ভর কিছু নয় । তাই ব্যবহারকারির ব্যাবহি্ত প্রোগ্রাম এবং ডাটা যদি 100% বিশুদ্ধ ও সঠিক হয়, সেক্ষেত্রে কম্পিউটার অত্যন্ত বিশ্বস্থ ও নির্ভরতার সাথে ফলাফল প্রদান করে । এক্ষেত্রে ভুল হাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই । এ কারনে অত্যন্ত দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য যন্ত্র হিসেবে কম্পিউটার ইতিমধ্য ব্যপক পরিচিতি লাভ করেছে । তবে কোন কারনে প্রোগ্রাম ভুল থাকলে অথবা ডেটা প্রদানে ত্রুটি বিচ্যুতি হলে কম্পিউটারের ফলাফলেও অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয় যাকে কম্পিউটারের ভাষায় Garbage in Garbage out বলে । বর্তমানে কম্পিউটারে উন্নত প্রোগ্রাম সামগ্রী ব্যাবহারের ফলে এ যাতীয় ভুলও অনেকাংশ পরিহার করা সম্ভব হয়েছে ।
(vii) স্বয়ংক্রিয়তা (Automation):- কম্পিউটার অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করে । এটি সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রামের ভিত্তিতে উপযুক্ত পরিবেশে সুনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় ধারাবাহিকভাবে তথ্য প্রক্রিয়া করনের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করে । এ কারনে আজকাল আধুনিক সুপারসনিক বিমান চালনা থেকে শুরু করে বিশ্ব যোগাযোগ, রোগ নির্ণয়, গবেষণা ইত্যাদি কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে (Artificial intelligence) কম্পিউটারের স্বয়ংক্রিয় ব্যাবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
(viii) বহুমুর্খিতা ( versatility):- কম্পিউটার একটি স্বয়ংক্রিয় বহুমুর্খিতা যন্ত্র । এমন বহু ক্ষেত্রে খুঁজে পাওয়া দুস্কর যেখানে কম্পিউটারের বহুবিধ ব্যাবহার লক্ষ্য করা যাবে না । সামাজিক, রাজনৈতিক,রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, বৈজ্ঞানিক গবোষণার সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । এছাড়া উৎপাদন ব্যাবস্থাপনা, মজুত নিয়ন্ত্রণ, এয়ার লাইনের টিকিট বুকিং,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতনের হিসাব, আয় ব্যয়ের বাজেট ও হিসাব নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক, বিমা, সমরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ, রাডার পরিচালনা, সৈন্যদের প্রশিক্ষন ও সমরকৌশল নির্ধারণ ইত্যাদি বিভিন্ন বৈচিত্র্যপূর্ণ কাজে কম্পিউটারের সফল ও কার্যকর উপস্থিতি প্রতীয়মান হয় । মোটকথা, আধুনিক সমাজ তথা নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ কম্পিউটার,কথাটি বল্লেও অত্যুক্তি হবে না ।
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু, পরের পার্ট-০৩( part-03) কম্পিউটারের ব্যবহার ( Application of computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাসক্রাইব-subscribe করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
This moment is pain
১. সমস্যা ছাড়া সৃজনশীল সমাজ আশা করা বৃথা ☑☑শিশুর জন্মের শুরুতে তাকে ঘিরে বাবা-মাসহ সবাই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে এবং শেষে বিশ্বজুড়ে প...
aro chai
উত্তরমুছুনApni amar blog flow korte thakun obossoi aro onek post paben
মুছুনami ki ict somporke kichu jante pari?
উত্তরমুছুনjj
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্য লিখুন...thanks all
উত্তরমুছুনThanks dada
উত্তরমুছুন