প্রিয় পাঠক,,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাকে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৫ এর কম্পিউটারের প্রকারভেদ ( Classification of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৫ (part-05)
🌏 কম্পিউটারের প্রকারভেদ ( Classification of computer 💻)🌏
প্রিয় পাঠক, আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সবচেয়ে সফল ও আশ্চার্যজনক আবিষ্কার । এটি এত দ্রুত পরিবর্তনশীল যে, স্বল্প সমায়ের ব্যবধানে এর আকার, আকৃতি, গঠন ও ক্ষমতায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । নিম্নে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
☑ক. প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণি বিভাগ :- প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. সাধারন কম্পিউটার ।
২. বিশেষ কম্পিউটার ।
👉১. সাধারন কম্পিউটার: সাধারনভাবে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করা হয় তাকে সাধারন কম্পিউটার বলে । এই কম্পিউটারে ব্যবহারকারি তার প্রয়োজন ও ইচ্ছানুযায়ী প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারেন । উদাহরনস্বরুপ, মাইক্রো কম্পিউটার , মিনি কম্পিউটারকে সাধারন কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে । দৈনিন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ যেমন, অফিস, আদালত, ব্যাং, বিমা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে সাধারণ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে ।
☑ ২. বিশেষ কম্পিউটার : যে কম্পিউটার সাধারনত কোন একটি বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয় তাকে বিশেষ কম্পিউটার বলে । এর প্রোগ্রাম কম্পিউটার মেমোরিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষন করা থাকে । যেমন- আবহাওয়া, ভূমিকম্প, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পারমাণবিড স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বিশেষ ও সূক্ষ্ম কাজে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার হয় । উদাহরনস্বরূপ- মেইনফ্রেম ও সুপার কম্পিউটারের নাম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
☑ খ. গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ :- গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻) ।
২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻) ।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻) ।
👉 ১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻):- Analog শব্দটি গ্রিক শব্দ । Analogous হতে উদ্ভূত, যার অর্থ তুলনা করা । এই প্দ্ধতিতে কোন বর্ণ বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় না । এক্ষেত্রে একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল রাশির সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয় । অ্যানালগ কম্পিউটার কাজ করে পদার্থবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে । অর্থাৎ চাপ, তাপ, তরলের প্রবাহ ইত্যাদি পরিবর্তনশীল ডেটার জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট হিসেবে ধরা হয় এবং প্রয়োজনিয় প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল সাধারনত কাঁটা বা প্লটারের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয় । এই অ্যানালগ কম্পিউটারে ডোন ধরনের মেমরি ইউনিট ব্যবহৃত হয় না । যেমন-
Input(sence)--->Computer--->Output.
💨 বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i). অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট অ্যানালক আকৃতির ।
(ii). অ্যানালক কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা কম । সাধারনত, ০.১% ।
(iii). একটি কাজের জন্য তৈরিকৃত কম্পিউটার অন্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যায় না ।
(iv). সাধারনত এই কম্পিউটার বিশেষ কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ।
🔴 উদাহরন:- মোটরগাড়ির স্পিডোমিটার,স্লাইডরুল,কাঁটাওয়ালা ঘড়ি, অপারেশনাল অ্যাম্পলিফায়ার ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার:- অ্যানালক কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলো হলো রাসায়নিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরন শিল্প, বাতাসের চাপ, তাপ ও বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি ।
👉২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻): Digital কথাটি 'Digit' শব্দ হতে উৎপত্তি । যার অর্থ অঙ্ক । যে কম্পিউটার সিস্টেম ডিজিটাল তথা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে । আর বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো 0 ও 1 এই দুটি ডিজিট ব্যবহার করে তার যাবতীয় গাণিতিক হিসাব-নিকাশ সম্পর্ণ করে । ডিজিটাল কম্পিউটার অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রদান করতে পারে । এ ধরনের কম্পিউটার বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত ও প্রক্রিয়াকরনের ফলাফল মেমরিতে সংরক্ষন করার ব্যবস্থা থাকে । তাই আধুনিক ও প্রচলিত কম্পিউটার বলতে সাধারনত ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝানো হয় । ব্লক চিত্র:
Input(sence)_~_~_~_Computer_~_~_~_Output
⭐ বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i). ডিজিটাল কম্পিউটারের ইনপুট গ্রহন করা হয় ডিজিটাল সিস্টেমে ।
(ii). এটি কাজ করে গাণিতিক অর্থাৎ বাইনারি পদ্ধতিতে ।
(iii). এটির সূক্ষ্মতা ১০০% ।
(vi). এটি আধুনিকমানের কম্পিউটার ।
(v). এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় ।
(vi). এর ব্যবহারের সার্বজনীয়তা আছে ।
🔴 উদারহরন:- বর্তমান সমায়ে ব্যবহৃত প্রায় সকল কম্পিউটারই ডিজিটাল কম্পিউটার । Pentium-i , ii,iii,iv, Apple, Mackintosh, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিজিটাল কম্পিউটার ।
🔵 ব্যবহার:- আমাদের প্রত্যহিক জীবনে যেমন- অফিস, আদালত,ব্যাংক,বিমা, ব্যবসা,শিক্ষা,শিল্প,খেলাধুলা,বিনোদন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ।
👉৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻):
Hybrid শব্দের অর্থ হলো সংকর বা সমন্বয় । অ্যানালক এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে । হাইব্রিড কম্পিউটারে সাধারনত ডেটা সংখ্যার রুপান্তরিত করে প্রক্রিয়াকরনোর জন্য ডিজিটাল অংশে প্রেয়ন করা হয় । ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত ডেটা প্রক্রিয়া করনের পর ফলাফল মনিটর কিংবা অন্য কোন আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হয় । সাধারনত বৈজ্ঞিনিক গবেষণাগার,শিল্প-প্রতিষ্ঠান, ইনসেনটিভ কেয়ার, রোগীর রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় । যেমন:- ব্লক চিত্র-
অ্যানালগ কম্পিউটার + ডিজিটাল কম্পিউটার = হাইব্রিড কম্পিউটার
⭐ বৈশিষ্ট্য ( Characteristics):
(i). হাইব্রিড কম্পিউটারের ইনপুট অ্যানালগ প্রকৃতিক এবং আউটপুট ডিজিটাল পদ্ধতির ।
(ii). হাইব্রিড কম্পিউটার বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হয় ।
(iii). হাইব্রিড কম্পিউটারের দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে ।
(iv). এর গঠন জঠিল প্রকৃতির ।
🔴 উদাহরন:- উল্লেখযোগ্য হাইব্রিড কম্পিউটারগুলো হলো- ECG মেশিন, MRI মেশিন, আধুনিক রাডার,সোনার (SONAR) ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার:- চিকিৎসা বিজ্ঞান, ক্ষেপণাস্ত্র,নভোযান,আবহাওয়া, ভূমিকম্প ইত্যাদি ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০৬( part-06) কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাসক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
good
উত্তরমুছুনOnek valo laglo
উত্তরমুছুনapnar post gulo onek easy
উত্তরমুছুনOk
উত্তরমুছুন