কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-06

প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনার সাথে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৬ এর কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।

👉 পার্ট-০৬ (part-06)
🌏 কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻)🌏
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সফল ও অনবদ্য আবিস্কার । কিন্তু বহুল ও জনপ্রিয় যন্ত্রটির আবিস্কারের ইতিহাস ও অনেক পুরনো এবং ঘটনা বহুল । প্রাচীনকালে মানুষ হিসাব ও গণনার জন্য নুড়ি পাথর,ঝিনুক,মার্বেল ইত্যাদি ব্যবহার করত । কিন্তু এতে মানুষ খুব সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি । তার পর শুরু হলো অ্যাবাকাসের ব্যবহার ।
 অ্যাবাকাস হলো কাঠের তৈরি আয়তকার কাঠামো যাতে ফ্রেমের ভিতর আড়া-আড়ি সুতা বা তারে বেঁধে বিভিন্ন রঙের গোলাকার গুটি বা বল সাজিয়ে রাখা হতো । অ্যাবাকাস দিয়ে যোগ,বিয়োগ,গুন, ভাগ করা যেত । এ কারনে অ্যাবাকাসকে প্রথম গনণাকারি যন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় । চীন, জাপান,গ্রিস, ইতালি ও রাশিয়াতে অ্যাবাকাসের প্রচলন ছিল । এখনও ভারত, চীনসহ কিছু কিছু দেশের স্কুলে অ্যাবাকাসের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । এর ধারাবাহিকতায় স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১০ সালে দাগ কাটা অস্থির সাহায্যে গণনার জন্য এক ধরনের যন্ত্রের প্রচলন করেন যেটি নেপিয়ারের অস্থি বা নেপিয়ারের হাড় নামে পরিচিত । এর ফলে বড় বড় গুন ও ভাগের কাজ আরো সহজ হয়ে যায় । এ ধারার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ১৬১৭ সালে লগারিদম সারনি বা লগ টেবিল তৈরি করা হয় । ফরাসি গণিতবিদ ব্লেইজ প্যাস্কাল (Blaise Pascal) ১৬৪২ সালে প্রথম যান্ত্রিক গণনার যন্ত্র আবিস্কার করেন । যার নাম "প্যাস্কেলাইন" । তিনি এই যন্ত্রের গিয়ার চালিত চাকা ব্যবহার করেন । এই যন্ত্র দিয়ে শুধু যোগ ও বিয়োগের কাজ করা যেত । পুনঃপুন যোগের মাধ্যমে গুন করার প্রক্রিয়া তিনিই প্রথম আবিস্কার করেন ।
পরবর্তীতে ১৬৭১ সালে জার্মানির গণিতবিদ ব্যারন গট ফ্রাইড ভন লিনিজ প্যাস্কাল যন্ত্রের উন্নত সংস্করন করেন । এটির সহায়তায় গুন,ভাগসহ হিসাবের অনন্য বিষয় আরো সহজ হয়ে যায় । মূলত এটিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত ক্যালকুলেটর । কিন্তু কিছুটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে এটি খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে নি । কিন্তু থমাস ডি কোমার (Thamas Di Komar) ১৮২০ সালে এটির যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করে এটিকে আধুনিক এবং আরো জনপ্রিয় করে তোলেন ।
১৮২২ সালে চার্লস ব্যাবেজ লগারিদমসহ গাণিতিক হিসাব-নিকাশ অধিক সহজ ও উন্নত করার জন্য ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) নামে একটি উন্নত যন্ত্র আবিস্কারের পরিকল্পনা করেন । কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারনে তা আর বেশি দূর এগোয় নি ।
 
⭐জন নেপিয়ারের বাড়( John Napier Baw):  ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজ নতুন করে অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical  Engine) নামে অপর একটি প্রকল্প তৈরি করেন । কিন্তু সে সমায়ে প্রযুক্তির সেভাবে উন্নতি না হাওয়ায় তিনি সফল হন নাই । কিন্তু এই মেশিনে আধুনিক কম্পিউটারের মতো ইনপুট,আউটপুট সিস্টেম,স্মৃতি,গাণিতিক অংশ ও নিয়ন্ত্রিত অংশের ব্যবস্থা ছিল । তাই চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় ।

এর পরে কম্পিউটারের ক্রম বিবর্তনের ইতিহাসে অনেকে অনেক কম্পিউটার আবিস্কার করেন । যেমন:
১. মার্ক-১ কম্পিউটার ( Mark-l Computer 💻,1937-1944)
২. এ.বি.সি কম্পিউটার ( The ABC computer, 1939-1942) ।
৩. দি ইনিয়াক ( The ENIAC,1943-1946)
৪. এডভ্যাক কম্পিউটার ( The EDBAC Computer,1946-1952)
৫. ইউনিভ্যাক কম্পিউটার ( The UNIVAC computer,1946-1951) ইত্যাদি ।

🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০৭( part-07) বিশেষ ধরনের  কম্পিউটার  ( Special purpose computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/  এই ব্লোকটি সাবস্কাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.

৩টি মন্তব্য:

This moment is pain

১. সমস্যা ছাড়া সৃজনশীল সমাজ আশা করা বৃথা ☑☑শিশুর জন্মের শুরুতে তাকে ঘিরে বাবা-মাসহ সবাই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে এবং শেষে বিশ্বজুড়ে প...