কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-05 লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-05 লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

স্টোরেজ ডিভাইস( Storage device). স্মৃতি(memory). part-01

প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আমরা সকলেই স্মাটফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি । আর স্মাটফোনের ও কম্পিউটারের মেমরি সম্পর্কে এখনো খুব একটা ধারনা নেই প্রায় লোকের । তাই আজকে আমি মেমরি সম্পর্কে আলোচনা করবো ।

🏠মেমরির প্রকারভেদ (Classification of Memory):
কম্পিউটারের মেমরিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
☑১. প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি (Primary/Main memory) ।
☑২. সেকেন্ডারি বা সহায়ক মেমরি (Auxiliary/Secondary Memory) ।
☑৩. ক্যাশ মেমরি (Cache memory) ।

☑১. প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি (Primary/Main memory): যে মেমরির সাথে সিপিইউ এর গাণিতিক ও যুক্তিমুলক (ALU) অংশের সরাসরি অ্যাক্সস থাকে তাকে প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি বলে । দ্রুতগতি সম্পন্ন ALU এর সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকায় প্রধান মেমরিকে অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন হতে হয় । প্রক্রিয়াকরণের সময় সহায়ক মেমরি সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম সহায়ক মেমরিতে জমা রাখা হয় এবং কাজ শেষে আবার সহায়ক মেমরিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । প্রধান মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে এ মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় । প্রসেসরের কাছাকাছি থাকায় ডেটা লিখন ও পঠন দ্রুত হয় অর্থাৎ অ্যাক্সেস কম যা মোটামুটি 4 হতে 100 ন্যানোসেকেন্ড । র্র্যাম, রম ইত্যাদি প্রধান মেমরির উদাহরণ ।

👇প্রধান মেমরির বৈশিষ্ট (Characteristics of Main Memory):  প্রধান মেমরির সাথে গাণিতিক ও যুক্তিমূলক (ALU) অংশের সরাসরি অ্যাক্সেস থাকে । যেমন:
👉কম্পিউটার পরিচালনার জন্য প্রধান মেমরি অত্যাবশ্যক ।
👉প্রধান মেমরিকে অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন ।
👉প্রধান মেমরিতে চলমান ডেটা থাকে ।
👉প্রক্রিয়াকরনের সমায় প্রোগ্রাম সমূহ প্রধান মেমরিতে অস্থায়ীভাবে জমা থাকে ।
👉প্রধান মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে এ মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় ।
👉প্রসেসরের কাছাকাছি থাকায় ডেটা লিখন ও পঠন দ্রুত হয় অর্থাৎ অ্যাক্সেস সমায় কম লাগে ।

🌱প্রধান মেমরির প্রকারভেদ (Classification of main memory):
খুব সুক্ষ জঠিল ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রয়োগ করে প্রধান মেমরি তৈরি করা হয় । কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সমায় বিভিন্ন ধরনের প্রধান মেমরির উদ্ভব হয়েছে । কম অ্যাক্সেস সমায়, অধিক ডেটা সংরক্ষন ক্ষমতা প্রভূতি ক্ষুদ্রাকার প্রধান মেমরির উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চলছে । Cryogencis memory, Optics memory, Surface acoustic memory প্রভূতি নতুন উদ্ভাবিত প্রধান মেমরির উদাহরন । নিম্নে বিভিন্ন ধরনের প্রধান মেমরির নাম দেওয়া হলো এবং তাদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি মেমরির বর্ণনা করা হলো:
১. চৌম্বক কোর মেমরি ( Magnetic Core memory) .
২. অর্ধপরিবাহী মেমরি ( Semiconductor Memory).
৩. ম্যাগনেটিক বাবল মেমরি ( Magnetic Bubble memory).
৪. চার্জড কাপল মেমরি ( Charged Couple memory).
৫. পাতলা পর্দা মেমরি ( Thin Film memory).

🌏 ১.  চৌম্বক কোর মেমরি ( Magnetic Core memory): চৌম্বক কোর হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটারের প্রধান মেমরি । এর জন্যই অনেকে এখনো অনেকে প্রধান মেমরিকে কোর মেমরি বলে । এক একটি কোর হচ্ছে রিংয়ের মতো একটি বলয় । যার মাঝখানে ফাঁকা থাকে । বলয়ের মাথা আলপিনের মতো যা চৌম্বক পদার্থ দ্বারা তৈরি । কতোগুলো তার আড়াআড়িভাবে বসিয়ে তারের ছেদ বিন্দুতে এক একটি চৌম্বক বসানো থাকে । তার বরাবর X-অক্ষ এবং Y-অক্ষ বিবেচনা করে চৌম্বক কর বসানো হয় । পরবর্তীতে কোরের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে কোর বিট সংরক্ষন করা ও চৌম্বক কোরে ডেটা সংরক্ষন করা যাবে তা নির্ভর করছে কোরে বিদ্যুৎ প্রভাহের উপর । চৌম্বক কোরের মধ্য বিদ্যুৎ প্রবাহ করলে চৌম্বক কোরটি নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে থাকে । এ ঘূর্ণন যদি ঘড়ির কাটার দিকে হয় তবে কোরে 1 বিট সংরক্ষন হবে  । আর যদি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে তাহলে 0 বিট সংরক্ষন হবে ।


🌏 ২. অর্ধপরিবাহী মেমরি ( Semiconductor memory): অর্ধপরিবাহী বস্তু দিয়ে এ মেমরি তৈরি । চৌম্বক কোরের তুলনায় অর্ধপরিবাহী মেমরি অনেক ছোট ও সস্তা । অর্ধপরিবাহী চিপসমূহ সাধারনত ক্যাপাসিটর ও ট্রান্সজিস্টরের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় । এ মেমরি সেলের ডেটা যে কোন সমায় লিখন ও পঠন করা যায় বলে একে রা্ন্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বা রা্ম (RAM) বলা হয় । এ মেমরির মূলে রয়েছে ফ্লি-ফ্লপ নামে দুই অবস্থাবিশিষ্ট ক্ষুদ্র যুক্তি বর্তনী বা মেমরি সেল । অর্ধপরিবাহী মেমরিকে প্রধানত দু'ভাবে ভাগ করা যায় । যথা:

(i). রা্নডম অ্যাক্সেস মেমরি ( Random Access Memory-RAM): RAM এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Random Access Memory । রা্ম এক ধরনের প্রধান মেমরি । কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং চলমান প্রোগ্রাম ও প্রয়োজনীয় ডেটা ধারন করে এ রা্মে (RAM) । প্রচলিত নিয়মে রা্মকে (RAM) প্রধান মেমরি হিসেবে অভিহিত করা হলেও রা্ম (RAM) আসলে বিশেষ প্রযুক্তির মেমরি । এ মেমরির অ্যাক্সেস টাইম ন্যানোসেকেন্ড থেকে মাইক্রোসেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে । পার্সোনাল কম্পিউটারের এ মেমরি ধারণ ক্ষমতা সাধারনত 128, 256, 512 মেগাবাইটের হয়ে থাকে ।

👇রা্মের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of RAM):
👉ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেমরি স্থান বা মেমরি সেল নিয়ে রা্ম (RAM) গঠিত ।
👉রা্ম (RAM) চলমান প্রোগ্রাম,ডেটা, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদির ফলাফল সংরক্ষন করে ।
👉প্রসেসরের খুব কাছাকাছি থাকায় এ মেমরিতে ডেটা সংরক্ষন ও পঠনের গতি দ্রুত হয় ।
👉এ মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হাওয়ার সাথে সাথে এই মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় ।

🌱রা্মের প্রকারভেদ ( Classification of RAM): রা্মকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. ডিরা্ম (DRAM) বা ডাইনামিক রা্ম (Dynamic RAM)
২. এসরা্ম (SRAM) বা স্ট্যাটিক রা্ম (Static RAM)

🌏১. ডিরা্ম (DRAM) বা ডাইনামিক রা্ম (Dynamic RAM): ডাইনামিক মেমরি চিপ মস ট্রানজিস্টর ( MOS Transistor) দ্বারা ক্যাপাসিটর (Capacitor) এর মাধ্যমে তৈরি করা হয় । এ ক্যাপাসিটর বিদ্যুৎ চার্জ আকারে বাইনারি বিট জমা থাকে । কিন্তু,ক্যাপাসিটরে ধারনকৃত চার্জগুলো সমায় বাড়ার সাথে সাথে ডিসচার্জ ( Discharge) হাওয়ার প্রবণতা থাকে । এজন্য নির্দিষ্ট সমায় পর পর মাইক্রোকম্পিউটারে সাধারনত ডাইনামিক রা্ম (RAM) ব্যবহৃত হয় । 
ডাইনামিক রা্মকে (RAM) আবার দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
(ক). এসডিরা্ম বা সিনক্রোনাস ডাইনামিক রা্ম ( Synchronous Dynamic RAM)
(খ). অ্যাসিনক্রোনাস ডিাইনামিক রা্ম ( Asynchronous Dynamic RAM)

🌏 ২. এসরা্ম (SRAM) বা স্ট্যাটিক রা্ম (Static RAM): স্ট্যাটিক রা্ম পুনঃপুন লিখন ব্যতীত তথ্যসমূহ পুনরুজ্জীবিত করে পাঠ করা যায় বলে এ ধরনের রা্মকে স্ট্যাটিক রা্ম বলে । স্ট্যাটিক রা্ম ফ্লিপফ্লপ দ্বারা গঠিত যা বাইনারি বিট 0  ও 1 ধারন করতে পারে । যতক্ষন পর্যন্ত এই মেমরিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকে ততক্ষন পর্যন্ত এই মেমরিতে ডেটা সংরক্ষিত থাকে । বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে এই মেমরিতে রক্ষিত ডাটা মুছে যায় । ক্যাশ মেমরি হিসাবে সাধারনত এই মেমরি করা হয় ।  সাধারনত এ মেমরির গতি 4-10 ন্যানোসেকেন্ড হয়ে থাকে । কিন্তু সার্কিট জঠিলতার কারনে উৎপাদন ব্যায় বেশি হাওয়ায় এই মেমরির ব্যবহার কম ।
স্ট্যাটিক রা্মকেও প্রধাণত দু'ভাগে ভাগ করা হয় । যথা:
(ক). সিনক্রোনাস স্ট্যাটিক রা্ম (Synchronous Static RAM) ।
(খ). অ্যাসিনক্রোনাস স্ট্যাটিক রা্ম ( Asynchronous static RAM) ।


(ii).  রম (Read Only Memory,ROM): স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষনের অন্যতম প্রধান মেমরি হচ্ছে রম বা রিড অনলি মেমরি । এ ধরনের মেমরি স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় । এ মেমরিতে তথ্য,উপাত্ত বা প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে যা শুধু পড়া যায় কিন্তু নতুন করে লিখা যায় না । তবে ইদানিং পুনরায় লিখার উপযোগী রম তৈরি করা হচ্ছে । সাধারনত রম তৈরি করার সমায় এতে প্রয়োজনীয় ডেটা সংরক্ষন করা হয় ।

👇রমের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of ROM):
👉সাধারনত রমে নতুন ডেটা লেখা হয় না । তবে প্রয়োজনে রমে ডেটা রাইট করা যায় ।
👉রম উদ্বায়ী নয় অর্থাৎ প্রবাহ বন্ধ হলে এ মেমরিতে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না ।
👉সাধারনত অপরিবর্তন যোগ্য ডেটা রমে সংরক্ষন করা হয় ।
👉রমে সংরক্ষিত প্রোগ্রাম সাধারনত পরিবর্তন করা যায় না । তবে বর্তমানে কিছু রম রয়েছে যেগুলো পুনঃপ্রোগ্রাম করা যায় ।

🌱রমের শ্রেণিবিভাগ ( Classification of ROM):
প্রচলিত বিভিন্ন রমের মধ্যে প্রধান চার'টি নিম্নে আলোচনা করা হলো ।  যথা:
১. MROM ( Mask Programmable ROM)
২. PROM ( Programmable ROM)
৩. EPROM ( Erasable Programmable ROM)
৪. EEPROM ( Electrically Erasable Programmable ROM)

🌏 ১. MROM ( Mask Programmable ROM): আইসি (IC) আকারে এ ধরনের রম ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয় । তৈরি করার সমায়ই এতে প্রোগ্রাম সন্নিবেশ করে দেওয়া হয় যা পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যায় না ।

🌏২. PROM ( Programmable ROM): এ ধরনের রমে ব্যবহারকারী নিজেই প্রোগ্রাম করতে পারেন এবং পরবর্তীতে তা আর পরিবর্তন করা যায় না । মিনি কম্পিউটারে সাময়িক ও অটোমোবাইল প্রযুক্তির জন্য এ ধরনের রম অধিক ব্যবহৃত হয় ।

🌏৩. EPROM ( Erasable Programmable ROM): এ ধরনের রমে ব্রবহারকারী নিজে তথ্য লিখে তা অতিবেগুনি রশ্মির সাহায্যে মুছে ফেলে আবার লিখতে পারেন । সফ্টওয়্যার উন্নয়নের জন্য এ ধরনের রম অধিক উপযোগী । এ ধরনের রম তৈরিতে FET-Field Effect Transistor নামক ট্রানজিস্টর এবং বিশেষ ধরনের সার্কিট ব্যবহার করা হয় ।

🌏৪. EEPROM ( Electrically Erasable Programmable ROM): এ ধরনের রমে তথ্য মুছে ফেলার জন্য এবং নতুন করে লেখার জন্য বৈদ্যুতিক স্পন্দন ব্যবহার করা হয় । ফলে সার্কিট বের করে সহজে এবং স্বল্প সমায়ে ত্থ্য মুছা যায় । ব্যবহারিক ডেটা সংশোধনের জন্য EEPROM রম অধিক ব্যবহৃত হয় ।


🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০২( part-02)-তে স্মৃতি( Memory) -এর বাকি অংশটি নিয়ে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/  এই ব্লোকটি সাবস্ক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.

কম্পিউটার পরিচিতি- Introduction to computer 💻 - part-05

প্রিয় পাঠক,,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাকে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৫ এর কম্পিউটারের প্রকারভেদ   ( Classification of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।

👉 পার্ট-০৫ (part-05)
🌏 কম্পিউটারের প্রকারভেদ ( Classification of computer 💻)🌏
প্রিয় পাঠক, আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সবচেয়ে সফল ও আশ্চার্যজনক আবিষ্কার । এটি এত দ্রুত পরিবর্তনশীল যে, স্বল্প সমায়ের ব্যবধানে এর আকার, আকৃতি, গঠন ও ক্ষমতায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । নিম্নে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
☑ক. প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণি বিভাগ :- প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. সাধারন কম্পিউটার ।
২. বিশেষ কম্পিউটার ।
👉১. সাধারন কম্পিউটার: সাধারনভাবে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করা হয় তাকে সাধারন কম্পিউটার বলে । এই কম্পিউটারে ব্যবহারকারি তার প্রয়োজন ও ইচ্ছানুযায়ী প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারেন । উদাহরনস্বরুপ, মাইক্রো কম্পিউটার , মিনি কম্পিউটারকে সাধারন কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে । দৈনিন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ যেমন, অফিস, আদালত, ব্যাং, বিমা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে সাধারণ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে ।

☑ ২. বিশেষ কম্পিউটার : যে কম্পিউটার সাধারনত কোন একটি বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয় তাকে বিশেষ কম্পিউটার বলে । এর প্রোগ্রাম কম্পিউটার মেমোরিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষন করা থাকে । যেমন- আবহাওয়া, ভূমিকম্প, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পারমাণবিড স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বিশেষ ও সূক্ষ্ম কাজে বিশেষ  ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার হয় । উদাহরনস্বরূপ- মেইনফ্রেম ও সুপার কম্পিউটারের নাম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।

☑ খ. গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ :- গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻) ।
২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻) ।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻) ।
👉 ১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻):- Analog শব্দটি গ্রিক শব্দ । Analogous হতে উদ্ভূত, যার অর্থ তুলনা করা । এই প্দ্ধতিতে কোন বর্ণ বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় না । এক্ষেত্রে একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল রাশির সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয় । অ্যানালগ কম্পিউটার কাজ করে পদার্থবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে । অর্থাৎ চাপ, তাপ, তরলের প্রবাহ ইত্যাদি পরিবর্তনশীল ডেটার জন্য সৃষ্ট  বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট হিসেবে ধরা হয় এবং প্রয়োজনিয় প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল সাধারনত কাঁটা বা প্লটারের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয় । এই অ্যানালগ কম্পিউটারে ডোন ধরনের মেমরি ইউনিট ব্যবহৃত হয় না । যেমন-  
Input(sence)--->Computer--->Output.

💨 বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i).  অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট অ্যানালক আকৃতির ।
(ii). অ্যানালক কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা কম । সাধারনত, ০.১% ।
(iii). একটি কাজের জন্য তৈরিকৃত কম্পিউটার অন্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যায় না ।
(iv). সাধারনত এই কম্পিউটার বিশেষ কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ।

🔴 উদাহরন:- মোটরগাড়ির স্পিডোমিটার,স্লাইডরুল,কাঁটাওয়ালা ঘড়ি, অপারেশনাল অ্যাম্পলিফায়ার ইত্যাদি ।

🔵 ব্যবহার:- অ্যানালক কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলো হলো রাসায়নিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরন শিল্প, বাতাসের চাপ, তাপ ও বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি ।

👉২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻): Digital কথাটি 'Digit' শব্দ হতে উৎপত্তি । যার অর্থ অঙ্ক । যে কম্পিউটার  সিস্টেম ডিজিটাল তথা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে তাকে ডিজিটাল  কম্পিউটার বলে । আর বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো 0 ও 1 এই দুটি ডিজিট ব্যবহার করে তার যাবতীয় গাণিতিক হিসাব-নিকাশ সম্পর্ণ করে ।  ডিজিটাল কম্পিউটার অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রদান করতে পারে । এ ধরনের কম্পিউটার বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত ও প্রক্রিয়াকরনের ফলাফল মেমরিতে সংরক্ষন করার ব্যবস্থা থাকে । তাই আধুনিক ও প্রচলিত কম্পিউটার বলতে সাধারনত ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝানো হয়  ।  ব্লক চিত্র:
 Input(sence)_~_~_~_Computer_~_~_~_Output


⭐ বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i). ডিজিটাল কম্পিউটারের ইনপুট গ্রহন করা হয় ডিজিটাল সিস্টেমে ।
(ii). এটি কাজ করে গাণিতিক অর্থাৎ বাইনারি পদ্ধতিতে ।
(iii). এটির সূক্ষ্মতা ১০০% ।
(vi). এটি আধুনিকমানের কম্পিউটার ।
(v). এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় ।
(vi). এর ব্যবহারের সার্বজনীয়তা আছে ।

🔴 উদারহরন:- বর্তমান সমায়ে ব্যবহৃত প্রায় সকল কম্পিউটারই ডিজিটাল কম্পিউটার । Pentium-i , ii,iii,iv, Apple, Mackintosh, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিজিটাল কম্পিউটার  ।

🔵 ব্যবহার:- আমাদের প্রত্যহিক জীবনে যেমন- অফিস, আদালত,ব্যাংক,বিমা, ব্যবসা,শিক্ষা,শিল্প,খেলাধুলা,বিনোদন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ।

👉৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻):
Hybrid শব্দের অর্থ হলো সংকর বা সমন্বয় । অ্যানালক এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে । হাইব্রিড কম্পিউটারে সাধারনত ডেটা সংখ্যার রুপান্তরিত করে প্রক্রিয়াকরনোর জন্য ডিজিটাল অংশে প্রেয়ন করা হয় । ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত ডেটা প্রক্রিয়া করনের পর ফলাফল মনিটর কিংবা অন্য কোন আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হয় । সাধারনত বৈজ্ঞিনিক গবেষণাগার,শিল্প-প্রতিষ্ঠান, ইনসেনটিভ কেয়ার, রোগীর রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় । যেমন:- ব্লক চিত্র-

অ্যানালগ কম্পিউটার + ডিজিটাল কম্পিউটার = হাইব্রিড কম্পিউটার

⭐ বৈশিষ্ট্য ( Characteristics):
(i). হাইব্রিড কম্পিউটারের ইনপুট অ্যানালগ প্রকৃতিক এবং আউটপুট ডিজিটাল পদ্ধতির ।
(ii). হাইব্রিড কম্পিউটার  বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হয় ।
(iii). হাইব্রিড কম্পিউটারের দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে ।
(iv). এর গঠন জঠিল প্রকৃতির ।

🔴 উদাহরন:- উল্লেখযোগ্য  হাইব্রিড কম্পিউটারগুলো হলো- ECG মেশিন, MRI মেশিন, আধুনিক রাডার,সোনার (SONAR) ইত্যাদি ।

🔵 ব্যবহার:- চিকিৎসা বিজ্ঞান, ক্ষেপণাস্ত্র,নভোযান,আবহাওয়া, ভূমিকম্প ইত্যাদি ।

🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০৬( part-06) কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/  এই ব্লোকটি সাসক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.

This moment is pain

১. সমস্যা ছাড়া সৃজনশীল সমাজ আশা করা বৃথা ☑☑শিশুর জন্মের শুরুতে তাকে ঘিরে বাবা-মাসহ সবাই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে এবং শেষে বিশ্বজুড়ে প...