bangla
This moment is pain
প্রোগ্রাম উন্নয়ন-অ্যালগরিদম,সূডো কোড এবং ফ্লোচার্ট
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাদের স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাদের সাথে অ্যালগরিদম ( Algorithm), সূডো কোড (Pseudo Code) এবং ফ্লোচার্ট (Flowchart) নিয়ে আলোচনা করবো । যা কম্পিউটার ব্যবহারে অত্যন্ত গুরুপ্তপূর্ণ । যার ব্যবহার আমাদের কাজকে অনেক সহজ ও দ্রুতগতির সাথে করতে সাহায্য করেছে ।
তাহলে এবার আলোচনায় যাচ্ছি...
💻১. অ্যালগরিদম ( Algorithm):
যে পদ্ধতিতে ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে কোন একটি নিদিষ্ট সমস্যার সামাধান করা হয় তাকে বলা হয় অ্যালগরিদম ।
👇অ্যালগরিদমের বৈশিষ্ট্য:
১. অ্যালগরিদমের শূন্য বা এক বা একাধিক ইনপুট থাকতে হবে ।
২. অবশ্যই কমপক্ষে একটি আউটপুট থাকতে হবে ।
৩. অ্যালগরিদম সহজবোধ্য হতে হবে ।
৪. প্রত্যেকটি ধাপ স্পষ্ট হতে হবে ।
৫. নির্দিষ্ট সংখ্যক ধাপে সমস্যার সমাধান হবে অবশ্যই ।
৬. একে ব্যপকভাবে প্রয়োগযোগ্য হতে হবে ।
৭. মেমরিতে কম স্থান নেওয়া উচিত ।
৮. দ্রুত নির্বাহযোগ্য হতে হবে ।
⭐উদাহরণ : তিনটি সংখ্যার যোগফল এবং গড় নির্ণয়ের লগারিদম ।
👉সমাধান:
ধাপ-১ : শুরু
ধাপ-২ : সংখ্যা তিনটির গড় ।
ধাপ-৩ : সংখ্যা তিনটির যোগফল বের কর ।
ধাপ-৪ : যোগফলকে তিন দিয়ে ভাগ করে গড় নির্ণয় কর ।
ধাপ-৫ : যোগফল এবং গড় ছাপাও ।
ধাপ-৬ : শেষ কর ।
💻সূডো কোড ( Pseudo code): সূডো একটি গ্রিক শব্দ । এর অর্থ ছদ্ম বা যা সত্য নয় । সূডো কোড দিয়ে একটি প্রোগ্রামকে এমনভাবে উপস্থাপন করা যায় যেন সকলে তা সহজে বুঝতে পারে । সুন্দর ও সহজ ইংরেজি ভাষায় সমস্যা সমাধানের প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করা থাকে । এটি কোন নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ভাসার উপর নির্ভরশীল নয় ।
প্রোগ্রাম রচনার সমায় যাতে বার বার বাধাপ্রাপ্ত হতে না হয় বা ভুল-ত্রুটি যাতে না হয় সে জন্য প্রোগ্রাম তৈরির পূর্বেই সূডো কোড রচনা করতে হয় । একে অনেকে অ্যালগোরিদমের বিকল্পও বলে থাকেন ।
⭐উদাহরণ: তিনটি সংখ্যার গড় বের করার জন্য সূডো কোড লিখ ।
👉সমাধান:
Start
INPUT A,B,C
Average=TOTAL/3
PRINT Average
STOP
💻 ফ্লোচার্ট ( Flowchart): অ্যালগোরিদমের চিত্ররুপ হলো ফ্লোচার্ট বা প্রবাহচিত্র (Graphical representation of the steps of an Algorithm is called Flowchart) । ফ্লোচার্ট প্রোগ্রামের প্রকৃতি বুঝতে সাহায্য করে । ফ্লোচার্টের উপর নির্ভর করে প্রোগ্রাম রচনা করা হয় । একটি ফ্লোচার্টের ডিজাইন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে আলাদা হতে পারে । এ জন্য একজন প্রোগ্রামারকে সর্বোত্তম না হলেও চেষ্টা করা উচিত একটি ভালো ফ্লোচার্ট তৈরি করার । ফ্লোচার্ট কোন নির্দিষ্ট প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা উচিত নয় ।
👇ফ্লোচার্টের বৈশিষ্ট্য:
১. সহজে প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য বুঝা যায় ।
প্রোগ্রামের ভুল নির্ণয়ে সহায়তা করে ।
৩. প্রোগ্রাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করে ।
৪. প্রোগ্রাম রচনায় সহায়তা করে ।
৫. সহজে ও সংক্ষেপে জটিল প্রোগ্রাম লেখা যায় ।
🌕ফ্লোচার্ট তৈরি করার নিয়মাবলি ( Rules of drawing Flowchart):
১. ফ্লোচার্ট তৈরি করার জন্য প্রচালিত প্রতিক ব্যবহার করা উচিত ।
২. তীর চিহ্ন দিয়ে উপর থেকে নিচে বা বামে থেকে ডানে প্রবাহ দেখানো উচিত ।
৩. ফ্লোচার্ট তৈরি করার সমায় সংযোগ চিহ্ন যত কম হয় ততই ভালো ।
৪. ফ্লোচার্টে নির্দিষ্ট কোন ভাষায় লেখা উচিত না ।
৫.চিহ্নগুলো ছোট বড় হলে ক্ষতি নাই তবে আকৃতি ঠিক থাকতে হবে ।
৬. প্রয়োজনে চিহ্নের সাথে মন্তব্য দিতে হবে ।
🌱ফ্লোচার্টের প্রকারভেদ (Types of Flowchart): সাধারনত ফ্লোচার্টকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন:
১. সিস্টেম ফ্লোচার্ট (System Flowchart)
২. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট ( Program Flowchart) ।
=) ১. সিস্টেম ফ্লোচার্ট (System Flowchart): ১. সিস্টেম ফ্লোচার্টে ডেটা প্রসেসিং সিস্টেমের বিভিন্ন আংশের মধ্যে প্রবাহ দেখাতে ব্যবহৃত হয় । স্টিস্টেম ফ্লোচার্টের প্রতিকগুলো হলো নিম্নরুপ:
Processing
Document
Collate
Merge
Display
Extract
Stored data
Manual input
Manual operation magnetic disk
Storting
Punched tape
Input /Output
Punch card
Sequental access memory
Connector
Summing junction
Decision
Direct access memory
Or. ইত্যাদি ।
=)নিম্নে সিস্টেম ফ্লোচার্টের মাধ্যমে কর্মচারিদের বেতন হিসেব করার পদ্ধতি দেখানো হলো:
Payroll registers of the employees(Document প্রতিক)-->Key punch(Manual operation প্রতিক)-->Input data( Input প্রতিক)-->Sort(Division প্রতিক)-->payroll program(Processing প্রতিক)-->Pay slip( Document প্রতিক) এবং Payroll report(Document প্রতিক)
=)২. প্রোগ্রাম ফ্লোচার্ট ( Program Flowchart): কম্পিউটার ফ্লোচার্ট লেখার জন্য এই ফ্লোচার্ট ব্যবহার করা হয় । এই ফ্লোচার্টের এই ফ্লোচার্টে প্রক্রিয়াকরণের ধাপসমূহ বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয় । প্রোগ্রাম ফ্লোচার্টে ব্যবহৃত প্রতীকগুলো হলো নিম্নরুপ: --
Start/End
Dicision
Input/Output
Direction of data flow
Processing
Predefined process
Connector
Sort note
ইত্যাদি ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক,
পরের পোস্টগুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাবস্ক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
স্টোরেজ ডিভাইস( Storage Device).স্মৃতি (Memory). part-02
প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আমরা সকলেই স্মাটফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি । আর স্মাটফোনের ও কম্পিউটারের মেমরি সম্পর্কে এখনো খুব একটা ধারনা নেই প্রায় লোকের । তাই আজকে আমি মেমরি সম্পর্কে পার্ট-০২ আলোচনা করবো ।
☑২. সেকেন্ডারি বা সহায়ক মেমরি ( Secondary / Auxiliary Memory):
প্রক্রিয়াকরণের পর অধিক পরিমান প্রক্রিয়াজাত
তথ্যকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষনের জন্য প্রধান মেমরির বাইরে যে অতিরিক্ত মেমরি ব্যবহার করা হয় তাকে সেকেন্ডারি বা সহায়ক মেমরি বলে । স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষনের জন্য এ মেমরি বহুল ব্যবহৃত ও কার্যকার । এর সাথে সরাসরি সংযোগ না থাকার অ্যাক্সেস সমায় ও কাজ করার গতি তুলনামুলক বেশি যা মোটামুটি কয়েক মিলিসেকেন্ড হতে মাইক্রোসেকেন্ড পর্যন্ত হয় । সহায়ক মেমরির ধারণ ক্ষমতা বিভিন্ন হলেও প্রধান মেমরির তুলনায় বেশি হতে হয় । প্রসেসর সহায়ক মেমরি হতে সরাসরি তথ্য ব্যবহার করতে পারে না । ডেটা বা প্রোগ্রাম সমূহ সহায়ক মেমরি হতে প্রধান মেমরিতে এনে তারপর কাজ করতে হয় । উল্লেখযোগ্য কয়েক ধরনের সহায়ক মেমরি হচ্ছে । যেমন:
(ক). হার্ড ডিস্ক (Hard Disk)
(খ). ফ্লিপ ডিস্ক ( Floppy Disk)
(গ). চৌম্বকীয় টেপ ( Magnetic Tape)
(ঘ). অপটিক্যাল ডিস্ক ( Optical Disk)
(ঙ). ডিভিডি ডিস্ক (DVD Disk)
(চ). এমও জিপ সাইকুয়েস্ট ( MO, ZIP Saikuyest)
💻 (ক). হার্ড ডিস্ক (Hard Disk) : পাতলা গোলাকার অ্যালুমিনিয়ম পাতের উভয় পাশে চুম্বকীয় প্রলেপ দিয়ে হার্ড ডিস্ক তৈরি করা হয় সাধারনত পাতগুলোর প্রতি দিকে 500 টি ট্র্যাক এবং 50 টি সেক্টর থাকে । 4,500 থেকে 10,000 আরপিএম গতিতে ঘূর্ণায়মান পাতে উপর হেডের মাধ্যমে ডেটা লেখা ও পড়া হয় । একটি হার্ড ডিস্কের ধারণ ক্ষমতা বর্তমানে কয়েক গিগাবাইট (GB) পর্যন্ত হয়ে থাকে । কম্পিউটারের বৃহৎ এবং স্থায়ী মেমরি হিসেবে হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করা হয় ।
💻(খ). ফ্লিপ ডিস্ক ( Floppy Disk): প্লাস্টিকের পাতের উপর চুম্বক পদার্থের প্রলেপ দিয়ে ফ্লপি ডিস্ক তৈরি করা যায় । এর উপাত্ত ধারনক্ষমতা মাত্র
১.৪৪ মেগাবাইট । সিপিইউ এর বাইরে উপাত্ত সংরক্ষণ বা এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে স্বল্প পরিমান ডেটা সরিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের ডিস্ক ব্যবহার করা হয় ।
💻(গ). চৌম্বকীয় টেপ ( Magnetic Tape): প্লাস্টিকের ফিতার উপর চুম্বকীয় পদার্থের প্রলেপের মাধ্যমে তৈরি সিকুয়েন্সিয়াল সহায়ক মেমরিকে চুম্বকীয় টেপ স্মৃতি বলে । একটি টেপ 50 থেকে 2500 ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হতে পারে এবং এতে 10 গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষন করা যেতে পারে । মেইনফ্রেম এবং মিনি কম্পিউটারে এখনো সহায়ক মেমরি হিসেবে চুম্বকীয় টেপের ব্যবহার রয়েছে ।
💻 (ঘ). অপটিক্যাল ডিস্ক ( Optical Disk): লেজার রশ্মির সাহায্যে পরিচালিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেকেন্ডারি মেমরি স্টোরেজ হচ্ছে অপটিক্যাল ডিস্ক, যা সিডি নামেও পরিচিত । এটা এক ধরনের Read Only Memory হাওয়ায় একে সিডি রম (CD-ROM) বলা হয় । সফ্টওয়্যার বাজারজাতকরণ এবং মাল্টিমিডিয়া পরিচালনার পাশাপাশি ডেটা সংরক্ষনের কাজে এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে । অডিও এবং ভিডিও উভয় ধরনের ডেটা এতে সংরক্ষন করা যায় ।
💻(ঙ). ডিভিডি ডিস্ক (DVD Disk): সাম্প্রতিক সমায়ে সিডি রমের চেয়ে অধিক তথ্য ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট্য এক ধরনের নতুন অপটিক্যাল ডিস্ক,সহায়ক মেমরি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । Digital Versatile Disk বা Digital Video Disk কে সংক্ষেপে ডিভিডি বলা হয় । এটি সিডি রমের মতোই অডিও ভিডিও ধারণ করতে পারে । এর ধারণ ক্ষমতা A-7GB হতে 17GB পর্যন্ত হয়ে থাকে । তাই বর্তমানে CD ROM এর চেয়ে DVD 📀 এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি ।
💻(চ). এমও জিপ সাইকুয়েস্ট ( MO, ZIP Saikuyest): স্বল্প প্রচলিত সহায়ক স্মৃতি হিসেবে এমও (MO-Magneto Optical), জিপ (ZIP) এবং সাইকুয়েস্ট ড্রাইভ প্রচলিত রয়েছে । 100 মেগাবাইট জিপ এবং 128 মেগাবাইট এমও ড্রাইভ ইতোমধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।
☑৩. ক্যাশ মেমরি ( cache memory): সবচেয়ে দামি ও উচ্চ গতিসম্পন্ন মেমরি ক্যাশ মেমরি । যেসব ডেটা বা নির্দেশ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের উচ্চ গতিসম্পন্ন ক্যাশ মেমরিতে রাখলে গড় অ্যাক্সেস সমায় কম হয় । ফলে কম্পিউটার দ্রুত কাজ করতে পারে । সিপিইউ-এর প্রসেসিংয়ের গতি প্রধান মেমরির গতি হতে বেশি হাওয়ায় ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে স্পিড মিসটেচ ( speed mistach) হাওয়ায় প্রসেসরের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায় । এ সমস্যা দূর করার জন্য প্রসেসর এবং প্রধান মেমরির মাঝামাঝি অবস্থানে ক্যাশ মেমরি ব্যবহার হয় । কোন নির্দেশ বা ডেটা আহরন করতে হলে সিপিইউ প্রথমে ক্যাশ মেমরি পরিক্ষা করে, সেখানে পাওয়া গেলে আহরণ করে, না পাওয়া গেলে প্রধান মেমরি থেকে তা আহরণ করে এবং পরবর্তীতে এক বা একাধিক শব্দ যতটা ক্যাশ মেমরিতে নিয়ে যায় । ফলে 90% এর অধিক বেশি ডেটা ক্যাশ মেমরিতে পাওয়া যায় । যার ফলে অ্যাক্সেস সমায় খুব কম লাগে । ক্যাশ মেমরির অ্যাক্সেস সমায় প্রধান মেমরির এক-সপ্তমাংশে এবং ধারণ ক্ষমতা অনেক । অর্থাৎ 25 কিলোবাইট (KB) থেকে 1 মেগাবাইট (MB) পর্যন্ত হয়ে থাকে ।
☑৪. ভারর্চ্যুয়াল মেমরি ( Virtual memory): স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে সহায়ক মেমরির ( যেমন-হার্ডডিস্ক) ফাঁকা কিছু স্থানকে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রধান মেমরির অংশ সিসেবে ব্যবহার করা যায় । এ মেমরিকে ভার্চ্যুয়াল মেমরি বলে ।
প্রধান মেমরির ধারন ক্ষমতার চেয়ে প্রয়োজনীয় অধিক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সহায়ক মেমরি খালি অংশ হতে এ মেমরি সংগ্রহ করা হয় । ভার্চ্যুয়াল মেমরি কার্যকার থাকা অবস্থায় যে পরমান স্থান ভার্চ্যুয়াল মেমরি হিসেবে ব্যবহৃত হবে সহায়ক মেমরিতে ঠিক সেই পরিমান স্থান কম পাওয়া যাবে । এ মেমরি প্রধান মেমরির বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচিত হবে । ফলে একটি ব্যবহারকারীর নিকট এটা প্রধান মেমরির মতোই মনে হবে । ভার্চ্যুয়াল মেমরি বন্ধ করে দিলে সহায়ক মেমরির যে পরিমান স্থান ভার্চ্যুয়াল মেমরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল তা পুনরায় সহায়ক মেমরির অন্তর্ভুক্ত হবে । উইন্ডোজ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যেমে এ ধরনের মেমরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি হয় । তবে ব্যবহারকারী কর্তৃক এ মেমরির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় ।
☑৫. ফ্লাশ মেমরি ( Flash Memory): ফ্লাশ মেমরি বিশেষ ধরনের সেমিকন্ডাক্টর মেমরি যা স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষন করতে পারে । এ মেমরিতে সংরক্ষিত ডেটা যে কোন সমায় রিড-রাইট করা যায় । ফ্লাশ মেমরি অনেকটা ইপিরমের মতো । তবে ইপিরমে যেখানে প্রতিটি বাইট পরিবর্তন করা যায়,ফ্লাশ মেমরিতে এক সাথে সম্পূর্ণ একটি ব্লক ডেটা রিড -রাইট করা যায় । উপরন্ত ফ্লাশ মেমরির প্রযুক্তিই আলাদা । তথাপি ফ্লপি ডিস্ক বা হার্ড ডিস্কের বিকল্প সিসেবে ফ্লাশ মেমরি ব্যবহার করা হয় । আকারে ছোট হাওয়ায় মোবাইলফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা,পরিবহনযোগ্য কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ফ্ল্যাশ মেমরি ব্যবহার করা হয় । অতি সম্প্রতি ডেটা ট্রান্সফার ও সংরক্ষণের সুবিধার জন্য পেন ড্রাইভ (Pen Drive), থাম্ব ড্রাইভ (Thamb Drive) কিংবা ফ্ল্যাশ রিডার আকারের এ মেমরি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক,
পরের পোস্টগুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাবস্ক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
স্টোরেজ ডিভাইস( Storage device). স্মৃতি(memory). part-01
প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আমরা সকলেই স্মাটফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি । আর স্মাটফোনের ও কম্পিউটারের মেমরি সম্পর্কে এখনো খুব একটা ধারনা নেই প্রায় লোকের । তাই আজকে আমি মেমরি সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
🏠মেমরির প্রকারভেদ (Classification of Memory):
কম্পিউটারের মেমরিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
☑১. প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি (Primary/Main memory) ।
☑২. সেকেন্ডারি বা সহায়ক মেমরি
(Auxiliary/Secondary Memory) ।
☑৩. ক্যাশ মেমরি (Cache memory) ।
☑১. প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি (Primary/Main memory): যে মেমরির সাথে সিপিইউ এর গাণিতিক ও যুক্তিমুলক (ALU) অংশের সরাসরি অ্যাক্সস থাকে তাকে প্রাইমারি বা প্রধান মেমরি বলে । দ্রুতগতি সম্পন্ন ALU এর সাথে প্রত্যক্ষ সংযোগ থাকায় প্রধান মেমরিকে অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন হতে হয় । প্রক্রিয়াকরণের সময় সহায়ক মেমরি সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম সহায়ক মেমরিতে জমা রাখা হয় এবং কাজ শেষে আবার সহায়ক মেমরিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । প্রধান মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে এ মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় । প্রসেসরের কাছাকাছি থাকায় ডেটা লিখন ও পঠন দ্রুত হয় অর্থাৎ অ্যাক্সেস কম যা মোটামুটি 4 হতে 100 ন্যানোসেকেন্ড । র্র্যাম, রম ইত্যাদি প্রধান মেমরির উদাহরণ ।
👇প্রধান মেমরির বৈশিষ্ট (Characteristics of Main Memory): প্রধান মেমরির সাথে গাণিতিক ও যুক্তিমূলক (ALU) অংশের সরাসরি অ্যাক্সেস থাকে । যেমন:
👉কম্পিউটার পরিচালনার জন্য প্রধান মেমরি অত্যাবশ্যক ।
👉প্রধান মেমরিকে অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন ।
👉প্রধান মেমরিতে চলমান ডেটা থাকে ।
👉প্রক্রিয়াকরনের সমায় প্রোগ্রাম সমূহ প্রধান মেমরিতে অস্থায়ীভাবে জমা থাকে ।
👉প্রধান মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হলে এ মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় ।
👉প্রসেসরের কাছাকাছি থাকায় ডেটা লিখন ও পঠন দ্রুত হয় অর্থাৎ অ্যাক্সেস সমায় কম লাগে ।
🌱প্রধান মেমরির প্রকারভেদ (Classification of main memory):
খুব সুক্ষ জঠিল ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রয়োগ করে প্রধান মেমরি তৈরি করা হয় । কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সমায় বিভিন্ন ধরনের প্রধান মেমরির উদ্ভব হয়েছে । কম অ্যাক্সেস সমায়, অধিক ডেটা সংরক্ষন ক্ষমতা প্রভূতি ক্ষুদ্রাকার প্রধান মেমরির উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চলছে । Cryogencis memory, Optics memory, Surface acoustic memory প্রভূতি নতুন উদ্ভাবিত প্রধান মেমরির উদাহরন । নিম্নে বিভিন্ন ধরনের প্রধান মেমরির নাম দেওয়া হলো এবং তাদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি মেমরির বর্ণনা করা হলো:
১. চৌম্বক কোর মেমরি ( Magnetic Core memory) .
২. অর্ধপরিবাহী মেমরি ( Semiconductor Memory).
৩. ম্যাগনেটিক বাবল মেমরি ( Magnetic Bubble memory).
৪. চার্জড কাপল মেমরি ( Charged Couple memory).
৫. পাতলা পর্দা মেমরি ( Thin Film memory).
🌏 ১. চৌম্বক কোর মেমরি ( Magnetic Core memory): চৌম্বক কোর হচ্ছে ইলেকট্রনিক্স কম্পিউটারের প্রধান মেমরি । এর জন্যই অনেকে এখনো অনেকে প্রধান মেমরিকে কোর মেমরি বলে । এক একটি কোর হচ্ছে রিংয়ের মতো একটি বলয় । যার মাঝখানে ফাঁকা থাকে । বলয়ের মাথা আলপিনের মতো যা চৌম্বক পদার্থ দ্বারা তৈরি । কতোগুলো তার আড়াআড়িভাবে বসিয়ে তারের ছেদ বিন্দুতে এক একটি চৌম্বক বসানো থাকে । তার বরাবর X-অক্ষ এবং Y-অক্ষ বিবেচনা করে চৌম্বক কর বসানো হয় । পরবর্তীতে কোরের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে কোর বিট সংরক্ষন করা ও চৌম্বক কোরে ডেটা সংরক্ষন করা যাবে তা নির্ভর করছে কোরে বিদ্যুৎ প্রভাহের উপর । চৌম্বক কোরের মধ্য বিদ্যুৎ প্রবাহ করলে চৌম্বক কোরটি নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে থাকে । এ ঘূর্ণন যদি ঘড়ির কাটার দিকে হয় তবে কোরে 1 বিট সংরক্ষন হবে । আর যদি ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে তাহলে 0 বিট সংরক্ষন হবে ।
🌏 ২. অর্ধপরিবাহী মেমরি ( Semiconductor memory): অর্ধপরিবাহী বস্তু দিয়ে এ মেমরি তৈরি । চৌম্বক কোরের তুলনায় অর্ধপরিবাহী মেমরি অনেক ছোট ও সস্তা । অর্ধপরিবাহী চিপসমূহ সাধারনত ক্যাপাসিটর ও ট্রান্সজিস্টরের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় । এ মেমরি সেলের ডেটা যে কোন সমায় লিখন ও পঠন করা যায় বলে একে রা্ন্ডম অ্যাক্সেস মেমরি বা রা্ম (RAM) বলা হয় । এ মেমরির মূলে রয়েছে ফ্লি-ফ্লপ নামে দুই অবস্থাবিশিষ্ট ক্ষুদ্র যুক্তি বর্তনী বা মেমরি সেল । অর্ধপরিবাহী মেমরিকে প্রধানত দু'ভাবে ভাগ করা যায় । যথা:
(i). রা্নডম অ্যাক্সেস মেমরি ( Random Access Memory-RAM): RAM এর পূর্ণরুপ হচ্ছে Random Access Memory । রা্ম এক ধরনের প্রধান মেমরি । কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং চলমান প্রোগ্রাম ও প্রয়োজনীয় ডেটা ধারন করে এ রা্মে (RAM) । প্রচলিত নিয়মে রা্মকে (RAM) প্রধান মেমরি হিসেবে অভিহিত করা হলেও রা্ম (RAM) আসলে বিশেষ প্রযুক্তির মেমরি । এ মেমরির অ্যাক্সেস টাইম ন্যানোসেকেন্ড থেকে মাইক্রোসেকেন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে । পার্সোনাল কম্পিউটারের এ মেমরি ধারণ ক্ষমতা সাধারনত 128, 256, 512 মেগাবাইটের হয়ে থাকে ।
👇রা্মের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of RAM):
👉ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেমরি স্থান বা মেমরি সেল নিয়ে রা্ম (RAM) গঠিত ।
👉রা্ম (RAM) চলমান প্রোগ্রাম,ডেটা, হিসাব-নিকাশ ইত্যাদির ফলাফল সংরক্ষন করে ।
👉প্রসেসরের খুব কাছাকাছি থাকায় এ মেমরিতে ডেটা সংরক্ষন ও পঠনের গতি দ্রুত হয় ।
👉এ মেমরি উদ্বায়ী অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হাওয়ার সাথে সাথে এই মেমরির সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় ।
🌱রা্মের প্রকারভেদ ( Classification of RAM): রা্মকে প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. ডিরা্ম (DRAM) বা ডাইনামিক রা্ম (Dynamic RAM)
২. এসরা্ম (SRAM) বা স্ট্যাটিক রা্ম (Static RAM)
🌏১. ডিরা্ম (DRAM) বা ডাইনামিক রা্ম (Dynamic RAM): ডাইনামিক মেমরি চিপ মস ট্রানজিস্টর ( MOS Transistor) দ্বারা ক্যাপাসিটর (Capacitor) এর মাধ্যমে তৈরি করা হয় । এ ক্যাপাসিটর বিদ্যুৎ চার্জ আকারে বাইনারি বিট জমা থাকে । কিন্তু,ক্যাপাসিটরে ধারনকৃত চার্জগুলো সমায় বাড়ার সাথে সাথে ডিসচার্জ ( Discharge) হাওয়ার প্রবণতা থাকে । এজন্য নির্দিষ্ট সমায় পর পর মাইক্রোকম্পিউটারে সাধারনত ডাইনামিক রা্ম (RAM) ব্যবহৃত হয় ।
ডাইনামিক রা্মকে (RAM) আবার দু'ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
(ক). এসডিরা্ম বা সিনক্রোনাস ডাইনামিক রা্ম ( Synchronous Dynamic RAM)
(খ). অ্যাসিনক্রোনাস ডিাইনামিক রা্ম ( Asynchronous Dynamic RAM)
🌏 ২. এসরা্ম (SRAM) বা স্ট্যাটিক রা্ম (Static RAM): স্ট্যাটিক রা্ম পুনঃপুন লিখন ব্যতীত তথ্যসমূহ পুনরুজ্জীবিত করে পাঠ করা যায় বলে এ ধরনের রা্মকে স্ট্যাটিক রা্ম বলে । স্ট্যাটিক রা্ম ফ্লিপফ্লপ দ্বারা গঠিত যা বাইনারি বিট 0 ও 1 ধারন করতে পারে । যতক্ষন পর্যন্ত এই মেমরিতে বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকে ততক্ষন পর্যন্ত এই মেমরিতে ডেটা সংরক্ষিত থাকে । বিদ্যুৎ প্রবাহ বন্ধ হলে এই মেমরিতে রক্ষিত ডাটা মুছে যায় । ক্যাশ মেমরি হিসাবে সাধারনত এই মেমরি করা হয় । সাধারনত এ মেমরির গতি 4-10 ন্যানোসেকেন্ড হয়ে থাকে । কিন্তু সার্কিট জঠিলতার কারনে উৎপাদন ব্যায় বেশি হাওয়ায় এই মেমরির ব্যবহার কম ।
স্ট্যাটিক রা্মকেও প্রধাণত দু'ভাগে ভাগ করা হয় । যথা:
(ক). সিনক্রোনাস স্ট্যাটিক রা্ম (Synchronous Static RAM) ।
(খ). অ্যাসিনক্রোনাস স্ট্যাটিক রা্ম ( Asynchronous static RAM) ।
(ii). রম (Read Only Memory,ROM): স্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষনের অন্যতম প্রধান মেমরি হচ্ছে রম বা রিড অনলি মেমরি । এ ধরনের মেমরি স্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় । এ মেমরিতে তথ্য,উপাত্ত বা প্রোগ্রাম স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে যা শুধু পড়া যায় কিন্তু নতুন করে লিখা যায় না । তবে ইদানিং পুনরায় লিখার উপযোগী রম তৈরি করা হচ্ছে । সাধারনত রম তৈরি করার সমায় এতে প্রয়োজনীয় ডেটা সংরক্ষন করা হয় ।
👇রমের বৈশিষ্ট্য ( Characteristics of ROM):
👉সাধারনত রমে নতুন ডেটা লেখা হয় না । তবে প্রয়োজনে রমে ডেটা রাইট করা যায় ।
👉রম উদ্বায়ী নয় অর্থাৎ প্রবাহ বন্ধ হলে এ মেমরিতে সংরক্ষিত ডেটা মুছে যায় না ।
👉সাধারনত অপরিবর্তন যোগ্য ডেটা রমে সংরক্ষন করা হয় ।
👉রমে সংরক্ষিত প্রোগ্রাম সাধারনত পরিবর্তন করা যায় না । তবে বর্তমানে কিছু রম রয়েছে যেগুলো পুনঃপ্রোগ্রাম করা যায় ।
🌱রমের শ্রেণিবিভাগ ( Classification of ROM):
প্রচলিত বিভিন্ন রমের মধ্যে প্রধান চার'টি নিম্নে আলোচনা করা হলো । যথা:
১. MROM ( Mask Programmable ROM)
২. PROM ( Programmable ROM)
৩. EPROM ( Erasable Programmable ROM)
৪. EEPROM ( Electrically Erasable Programmable ROM)
🌏 ১. MROM ( Mask Programmable ROM): আইসি (IC) আকারে এ ধরনের রম ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা হয় । তৈরি করার সমায়ই এতে প্রোগ্রাম সন্নিবেশ করে দেওয়া হয় যা পরবর্তীতে পরিবর্তন করা যায় না ।
🌏২. PROM ( Programmable ROM): এ ধরনের রমে ব্যবহারকারী নিজেই প্রোগ্রাম করতে পারেন এবং পরবর্তীতে তা আর পরিবর্তন করা যায় না । মিনি কম্পিউটারে সাময়িক ও অটোমোবাইল প্রযুক্তির জন্য এ ধরনের রম অধিক ব্যবহৃত হয় ।
🌏৩. EPROM ( Erasable Programmable ROM): এ ধরনের রমে ব্রবহারকারী নিজে তথ্য লিখে তা অতিবেগুনি রশ্মির সাহায্যে মুছে ফেলে আবার লিখতে পারেন । সফ্টওয়্যার উন্নয়নের জন্য এ ধরনের রম অধিক উপযোগী । এ ধরনের রম তৈরিতে FET-Field Effect Transistor নামক ট্রানজিস্টর এবং বিশেষ ধরনের সার্কিট ব্যবহার করা হয় ।
🌏৪. EEPROM ( Electrically Erasable Programmable ROM): এ ধরনের রমে তথ্য মুছে ফেলার জন্য এবং নতুন করে লেখার জন্য বৈদ্যুতিক স্পন্দন ব্যবহার করা হয় । ফলে সার্কিট বের করে সহজে এবং স্বল্প সমায়ে ত্থ্য মুছা যায় । ব্যবহারিক ডেটা সংশোধনের জন্য EEPROM রম অধিক ব্যবহৃত হয় ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০২( part-02)-তে স্মৃতি( Memory) -এর বাকি অংশটি নিয়ে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাবস্ক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-07
প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনার সাথে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৭ এর বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ( Special purpose computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৭ (part-07)
🌏 বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ( Special purpose computer 💻)🌏
প্রিয়ো পাঠক, আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সফল ও অনবদ্য আবিস্কার । কিন্তু বিশেষ ধরনের কম্পিউটার আবিস্কারের ফলে আমাদের আধুনিক সমায়কে আরো অত্যাধুনিক হিসেবে গড়ে তুলছে ।
যে কম্পিজটার সাধারনত কোন বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় তাকে বিশেষ কম্পিউটার বলে । এই কম্পিউটারের কাজের সুক্ষ্মতা ও গতি অনেক বেশি । এই কম্পিউটারগুলো সাধারনত পরিবর্তনযোগ্য নয় । যেমন- দাবা খেলা, রোগ নির্ণয়, আবহাওয়া, ভূমিকম্প, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পারমাণবিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রভূতি বিশেষ ও সূক্ষ্ম কাজে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় । এদের মধ্যে কয়েকটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার হলো---
☑ ক. কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনার( Computer controlled Air- Conditioner): কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনার একটি বিশেষ ধরনের স্বয়ংক্রকম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এয়ার কন্ডিশনারয় ব্যবস্থা , যা বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী তাপমার্ত্রা , আর্দ্রতা, অক্সিজেনের মার্ত্রার পরিমান প্রভূতি সেন্সর এবং সেই অনুযায়ি যন্ত্রপাতি । পরিচালনা এবং বাতাস সরবরাহের কাজ নিয়ন্ত্রন করে থাকে । বিশেষ করে কোন বাড়ি বা কারখানার আন্ডারগ্রাউন্ড বা বেসমেন্ট ফ্লোরে কনক্রিটের দেয়ালে থাকে যেখানে কাজের পরিবেশ প্রতিকুল থাকে কিংবা তাপমারত্রা গরমকালে অত্যন্ত বেশি থাকে । সেই সব স্থানে তাপমাত্রা কার্যকরভাবে কমানোর জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রের জন্য এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় । এতে বিদ্যুৎ উৎস হিসাবে সোলার এনার্জি বা সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয় । এতে ব্যবহৃত রিচার্জেবল ব্যাটারি সৌরশক্তি হতে বিদ্যুৎ পেয়ে থাকে যা বাতাস প্রবাহের জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতিক মোটরের ফ্যান ঘূর্ণন ও তাপমার্ত্রা বের হয়ে যাওয়ার কাজে সাহায্য করে ।
☑ খ. কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি (Computer 💻 controlled car): কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি হচ্ছে এক ধরনের স্বয়ংসম্পূর্ণ যান, যা কোন চালক ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করতে পারে । এই বিশেষ ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত গাড়ি তৈরিতে আর্টিফিসিয়েল ইনটিলিজেন্স (Artificial intelligence) ব্যবহার করা হয় । ফলে এই সিস্টেম গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রন,ব্যাকওয়ার্ড-ফরওয়ার্ড মুভমেন্ট, ডুয়েল-গিয়ারিং,পেছনের চাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় মোড়ে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা উচু-নিচু,সিগন্যালিং কিংবা ওভারটেকিং এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেন্সার ব্যবহার ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে দক্ষতার সাথে করতে পারে । আগামীতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবে এটি যুগান্তকারি ভূমিকা রাখবে বলে অনেকে মনে করেন ।
☑গ. অটোরিফ্র্যাকটোমিটার ( Autorefractometer) : অটোরিফ্র্যাকটোমিটার হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের মেশিন যা মানুষের চোখের ভিজুয়াল ক্ষমতা বা রিফ্রেকটিভ সমস্যা পরিক্ষা করা হয় । এর মাধ্যমে চশমা কিংবা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের উপযোগিতা নিরুপণ করা হয় । কারো চোখে প্রবেশকৃত আলো কিভাবে চোখে পরিবর্তিত হয় তা নির্ণয়ের মধ্যমে এই উপযোগীতা যাচাই করা হয় । একে অনেক সমায় অটোরিফ্র্যাকটর (Auto refractor) বলা হয় । এ মেশিনের মধ্যে একটি স্কিন বা মনিটর রয়েছে যার সাহায্য চোখের বিভিন্ন অংশের সূক্ষ হিসাব-নিকাশ, প্রতিফলিত আলো নিয়ন্ত্রণ, চোখের মণির আকার নিরুপণ, অক্ষ কোণের পরিমান,ভার্টিক্স দূরত্ব, চোখের পর্দার আবরণ, চোখের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন ও তথ্য্াবলি প্রদর্শন প্রভূতি করা হয় । এটে ছোট একটি প্রিন্টার রয়েছে যার সাহায্যে চোখের সকল তথ্যাবলি কাগজে প্রিন্ট করে বের করা যায় । ছবি বড় করু দেখার জন্য মেশিনের স্কিনকে NTSC ভিডিও টার্মিনালের সাথে যুক্ত করা যায় ।
☑ঘ. Magnetic resonance imaging (MRI): MRI এক ধরনের প্রাথমিক মেডিকেল ইমেজিং পদ্ধতি । যার সাহায্যে শরীরের অভ্যন্তরীণ গঠন এবং নিদির্ষ্ট কিছু ফাংশনের ইমেজ বা চিত্র ধারন করা যায় । রেডিওলজি সংক্রান্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এ মেশিন ব্যবহার করা হয় । শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর টিস্যুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে । বিশেষ করে Neurological(brain), musculoskeletal, cardiovascular, oncological(cancer) ইত্যাদি পর্যবেক্ষণে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে । এটি তুলনামুলক নতুন টেকনোলজি । সর্বপ্রথম এটি ইদুঁরের উপর প্রয়োগ করা হয় ১৯৭৩ সালে । মানুষের শরীরের উপর প্রথম ইমেজ নেওয়া হয় ১৯৭৭ সালে । পরমানুবিক চুম্বকের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মূলত এটি তৈরি করা হয়েছিল । সে জন্য এটির প্রকৃত নাম হলো Nuclear-Magnetic resonance imaging (NMRI) । পরমাণবিক শব্দের সাথে রেডিয়েশন শব্দটি অনেকের মনে ভীতি তৈরি করে বিধায় Nuclear শব্দটি বাদ দিয়ে একে সংক্ষেপে MRI বলা হয় । যদিও এটি ব্যবহারু কোন রেডিয়েশন হয় না । অনেক সমায় একে Magnetic resonance tomography (MRT) ও বলা হয় ।
☑ঙ. রোবট (Robot): এটি একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবস্থা যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে কাজ করে । এটি একটি কম্পিউটার ব্যবস্থা যেটা মানুষ কিংবা বিভিন্ন বুদ্ধিমাত্তা প্রাণির মতো কাজ করতে পারে । এটি সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত নিদিষ্ট কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে । রোবট অত্যন্ত দ্রুত,ক্লান্তিহীন ও কার্যসম্পাদনকারি যন্ত্র । সাধারণত যেসব পরিবেশে মানুষের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব, যেমন মোটরগাড়ি কারখানাতে যেখানে কঠিন শ্রমের কাজ করতে হয় , কোন সৌর চুল্লীর কাছাকাছি যেখানে মানুষের পক্ষে থাকা অসম্ভব, খনিতে বা অন্য কোন স্থানে যেখানে অক্সিজেনের সল্পতা দেখা যায় ঐসব পরিবেশে রোবট ব্যবহার করা হয় । এর প্রটিতি কাজের জন্য পৃথক প্রোগ্রাম বা নির্দেশনা তৈরি করতে হয় এবং এর জন্য হাজার হাজার কম্পিউটার কোড ব্যবহার করা হয় । রোবটের কাজকে কীভাবে আরো সহজ করা যায় এবং কিভাবে বেশি পরিমান কাজের নির্দেশনা দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা রাত-দিন গবেষণা করে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি ব্রিটেনের কয়েকজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তায় এমন কিছু রোবট তৈরি করেছেন যা মানুষের আচার-আচারণ,ব্যবহার, কর্মপ্রতিক্রিয়া প্রভূতি অনুসরণ করে চাহিদা মোতাবেক কাজ করতে পারবে ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক,
পরের লেখাগুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-06
প্রিয় পাঠক,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনার সাথে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৬ এর কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৬ (part-06)
🌏 কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻)🌏
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সফল ও অনবদ্য আবিস্কার । কিন্তু বহুল ও জনপ্রিয় যন্ত্রটির আবিস্কারের ইতিহাস ও অনেক পুরনো এবং ঘটনা বহুল । প্রাচীনকালে মানুষ হিসাব ও গণনার জন্য নুড়ি পাথর,ঝিনুক,মার্বেল ইত্যাদি ব্যবহার করত । কিন্তু এতে মানুষ খুব সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি । তার পর শুরু হলো অ্যাবাকাসের ব্যবহার ।
অ্যাবাকাস হলো কাঠের তৈরি আয়তকার কাঠামো যাতে ফ্রেমের ভিতর আড়া-আড়ি সুতা বা তারে বেঁধে বিভিন্ন রঙের গোলাকার গুটি বা বল সাজিয়ে রাখা হতো । অ্যাবাকাস দিয়ে যোগ,বিয়োগ,গুন, ভাগ করা যেত । এ কারনে অ্যাবাকাসকে প্রথম গনণাকারি যন্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় । চীন, জাপান,গ্রিস, ইতালি ও রাশিয়াতে অ্যাবাকাসের প্রচলন ছিল । এখনও ভারত, চীনসহ কিছু কিছু দেশের স্কুলে অ্যাবাকাসের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । এর ধারাবাহিকতায় স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১০ সালে দাগ কাটা অস্থির সাহায্যে গণনার জন্য এক ধরনের যন্ত্রের প্রচলন করেন যেটি নেপিয়ারের অস্থি বা নেপিয়ারের হাড় নামে পরিচিত । এর ফলে বড় বড় গুন ও ভাগের কাজ আরো সহজ হয়ে যায় । এ ধারার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ১৬১৭ সালে লগারিদম সারনি বা লগ টেবিল তৈরি করা হয় । ফরাসি গণিতবিদ ব্লেইজ প্যাস্কাল (Blaise Pascal) ১৬৪২ সালে প্রথম যান্ত্রিক গণনার যন্ত্র আবিস্কার করেন । যার নাম "প্যাস্কেলাইন" । তিনি এই যন্ত্রের গিয়ার চালিত চাকা ব্যবহার করেন । এই যন্ত্র দিয়ে শুধু যোগ ও বিয়োগের কাজ করা যেত । পুনঃপুন যোগের মাধ্যমে গুন করার প্রক্রিয়া তিনিই প্রথম আবিস্কার করেন ।
পরবর্তীতে ১৬৭১ সালে জার্মানির গণিতবিদ ব্যারন গট ফ্রাইড ভন লিনিজ প্যাস্কাল যন্ত্রের উন্নত সংস্করন করেন । এটির সহায়তায় গুন,ভাগসহ হিসাবের অনন্য বিষয় আরো সহজ হয়ে যায় । মূলত এটিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নির্মিত ক্যালকুলেটর । কিন্তু কিছুটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে এটি খুব একটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারে নি । কিন্তু থমাস ডি কোমার (Thamas Di Komar) ১৮২০ সালে এটির যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করে এটিকে আধুনিক এবং আরো জনপ্রিয় করে তোলেন ।
১৮২২ সালে চার্লস ব্যাবেজ লগারিদমসহ গাণিতিক হিসাব-নিকাশ অধিক সহজ ও উন্নত করার জন্য ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine) নামে একটি উন্নত যন্ত্র আবিস্কারের পরিকল্পনা করেন । কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারনে তা আর বেশি দূর এগোয় নি ।
⭐জন নেপিয়ারের বাড়( John Napier Baw): ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজ নতুন করে অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন (Analytical Engine) নামে অপর একটি প্রকল্প তৈরি করেন । কিন্তু সে সমায়ে প্রযুক্তির সেভাবে উন্নতি না হাওয়ায় তিনি সফল হন নাই । কিন্তু এই মেশিনে আধুনিক কম্পিউটারের মতো ইনপুট,আউটপুট সিস্টেম,স্মৃতি,গাণিতিক অংশ ও নিয়ন্ত্রিত অংশের ব্যবস্থা ছিল । তাই চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয় ।
এর পরে কম্পিউটারের ক্রম বিবর্তনের ইতিহাসে অনেকে অনেক কম্পিউটার আবিস্কার করেন । যেমন:
১. মার্ক-১ কম্পিউটার ( Mark-l Computer 💻,1937-1944)
২. এ.বি.সি কম্পিউটার ( The ABC computer, 1939-1942) ।
৩. দি ইনিয়াক ( The ENIAC,1943-1946)
৪. এডভ্যাক কম্পিউটার ( The EDBAC Computer,1946-1952)
৫. ইউনিভ্যাক কম্পিউটার ( The UNIVAC computer,1946-1951) ইত্যাদি ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০৭( part-07) বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ( Special purpose computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাবস্কাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
কম্পিউটার পরিচিতি- Introduction to computer 💻 - part-05
প্রিয় পাঠক,,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাকে স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাকে কম্পিউটার পরিচিতি সম্পর্কে পার্ট-০৫ এর কম্পিউটারের প্রকারভেদ ( Classification of computer 💻) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৫ (part-05)
🌏 কম্পিউটারের প্রকারভেদ ( Classification of computer 💻)🌏
প্রিয় পাঠক, আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । কম্পিউটার আধুনিক সভ্যতার সবচেয়ে সফল ও আশ্চার্যজনক আবিষ্কার । এটি এত দ্রুত পরিবর্তনশীল যে, স্বল্প সমায়ের ব্যবধানে এর আকার, আকৃতি, গঠন ও ক্ষমতায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন । নিম্নে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
☑ক. প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণি বিভাগ :- প্রয়োগের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় । যথা :
১. সাধারন কম্পিউটার ।
২. বিশেষ কম্পিউটার ।
👉১. সাধারন কম্পিউটার: সাধারনভাবে যে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করা হয় তাকে সাধারন কম্পিউটার বলে । এই কম্পিউটারে ব্যবহারকারি তার প্রয়োজন ও ইচ্ছানুযায়ী প্রোগ্রাম পরিবর্তন করে ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে পারেন । উদাহরনস্বরুপ, মাইক্রো কম্পিউটার , মিনি কম্পিউটারকে সাধারন কম্পিউটার হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে । দৈনিন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজ যেমন, অফিস, আদালত, ব্যাং, বিমা, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে সাধারণ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে ।
☑ ২. বিশেষ কম্পিউটার : যে কম্পিউটার সাধারনত কোন একটি বিশেষ কাজের জন্য তৈরি করা হয় তাকে বিশেষ কম্পিউটার বলে । এর প্রোগ্রাম কম্পিউটার মেমোরিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষন করা থাকে । যেমন- আবহাওয়া, ভূমিকম্প, জটিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পারমাণবিড স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি বিশেষ ও সূক্ষ্ম কাজে বিশেষ ধরনের কম্পিউটার ব্যবহার হয় । উদাহরনস্বরূপ- মেইনফ্রেম ও সুপার কম্পিউটারের নাম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ।
☑ খ. গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের শ্রেণিবিভাগ :- গঠন বা পরিচালনার নীতির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻) ।
২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻) ।
৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻) ।
👉 ১. অ্যানালগ কম্পিউটার (Analog Computer 💻):- Analog শব্দটি গ্রিক শব্দ । Analogous হতে উদ্ভূত, যার অর্থ তুলনা করা । এই প্দ্ধতিতে কোন বর্ণ বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় না । এক্ষেত্রে একটি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল রাশির সাথে তুলনা করে পরিমাপ করা হয় । অ্যানালগ কম্পিউটার কাজ করে পদার্থবিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে । অর্থাৎ চাপ, তাপ, তরলের প্রবাহ ইত্যাদি পরিবর্তনশীল ডেটার জন্য সৃষ্ট বৈদ্যুতিক তরঙ্গকে অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট হিসেবে ধরা হয় এবং প্রয়োজনিয় প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল সাধারনত কাঁটা বা প্লটারের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয় । এই অ্যানালগ কম্পিউটারে ডোন ধরনের মেমরি ইউনিট ব্যবহৃত হয় না । যেমন-
Input(sence)--->Computer--->Output.
💨 বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i). অ্যানালক কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট অ্যানালক আকৃতির ।
(ii). অ্যানালক কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা কম । সাধারনত, ০.১% ।
(iii). একটি কাজের জন্য তৈরিকৃত কম্পিউটার অন্য কাজের জন্য ব্যবহার করা যায় না ।
(iv). সাধারনত এই কম্পিউটার বিশেষ কোন কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় ।
🔴 উদাহরন:- মোটরগাড়ির স্পিডোমিটার,স্লাইডরুল,কাঁটাওয়ালা ঘড়ি, অপারেশনাল অ্যাম্পলিফায়ার ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার:- অ্যানালক কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য ব্যবহারগুলো হলো রাসায়নিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরন শিল্প, বাতাসের চাপ, তাপ ও বায়ু প্রবাহ ইত্যাদি ।
👉২. ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer 💻): Digital কথাটি 'Digit' শব্দ হতে উৎপত্তি । যার অর্থ অঙ্ক । যে কম্পিউটার সিস্টেম ডিজিটাল তথা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে তাকে ডিজিটাল কম্পিউটার বলে । আর বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো 0 ও 1 এই দুটি ডিজিট ব্যবহার করে তার যাবতীয় গাণিতিক হিসাব-নিকাশ সম্পর্ণ করে । ডিজিটাল কম্পিউটার অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নির্ভুলভাবে ফলাফল প্রদান করতে পারে । এ ধরনের কম্পিউটার বিভিন্ন তথ্য, উপাত্ত ও প্রক্রিয়াকরনের ফলাফল মেমরিতে সংরক্ষন করার ব্যবস্থা থাকে । তাই আধুনিক ও প্রচলিত কম্পিউটার বলতে সাধারনত ডিজিটাল কম্পিউটারকেই বোঝানো হয় । ব্লক চিত্র:
Input(sence)_~_~_~_Computer_~_~_~_Output
⭐ বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i). ডিজিটাল কম্পিউটারের ইনপুট গ্রহন করা হয় ডিজিটাল সিস্টেমে ।
(ii). এটি কাজ করে গাণিতিক অর্থাৎ বাইনারি পদ্ধতিতে ।
(iii). এটির সূক্ষ্মতা ১০০% ।
(vi). এটি আধুনিকমানের কম্পিউটার ।
(v). এটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় ।
(vi). এর ব্যবহারের সার্বজনীয়তা আছে ।
🔴 উদারহরন:- বর্তমান সমায়ে ব্যবহৃত প্রায় সকল কম্পিউটারই ডিজিটাল কম্পিউটার । Pentium-i , ii,iii,iv, Apple, Mackintosh, ল্যাপটপ ইত্যাদি ডিজিটাল কম্পিউটার ।
🔵 ব্যবহার:- আমাদের প্রত্যহিক জীবনে যেমন- অফিস, আদালত,ব্যাংক,বিমা, ব্যবসা,শিক্ষা,শিল্প,খেলাধুলা,বিনোদন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ।
👉৩. হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid computer 💻):
Hybrid শব্দের অর্থ হলো সংকর বা সমন্বয় । অ্যানালক এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে যে কম্পিউটার তৈরি করা হয় তাকে হাইব্রিড কম্পিউটার বলে । হাইব্রিড কম্পিউটারে সাধারনত ডেটা সংখ্যার রুপান্তরিত করে প্রক্রিয়াকরনোর জন্য ডিজিটাল অংশে প্রেয়ন করা হয় । ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত ডেটা প্রক্রিয়া করনের পর ফলাফল মনিটর কিংবা অন্য কোন আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শিত হয় । সাধারনত বৈজ্ঞিনিক গবেষণাগার,শিল্প-প্রতিষ্ঠান, ইনসেনটিভ কেয়ার, রোগীর রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা, হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাইব্রিড কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় । যেমন:- ব্লক চিত্র-
অ্যানালগ কম্পিউটার + ডিজিটাল কম্পিউটার = হাইব্রিড কম্পিউটার
⭐ বৈশিষ্ট্য ( Characteristics):
(i). হাইব্রিড কম্পিউটারের ইনপুট অ্যানালগ প্রকৃতিক এবং আউটপুট ডিজিটাল পদ্ধতির ।
(ii). হাইব্রিড কম্পিউটার বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহার করা হয় ।
(iii). হাইব্রিড কম্পিউটারের দাম অনেক বেশী হয়ে থাকে ।
(iv). এর গঠন জঠিল প্রকৃতির ।
🔴 উদাহরন:- উল্লেখযোগ্য হাইব্রিড কম্পিউটারগুলো হলো- ECG মেশিন, MRI মেশিন, আধুনিক রাডার,সোনার (SONAR) ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার:- চিকিৎসা বিজ্ঞান, ক্ষেপণাস্ত্র,নভোযান,আবহাওয়া, ভূমিকম্প ইত্যাদি ।
🔝🔝প্রিয় পাঠক, পরের পার্ট-০৬( part-06) কম্পিউটারের ইতিহাস ( History of computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাসক্রাইব-subscribe করুন । এবং কমেন্ট কক্সে আপনার মূল্যবান মতামত প্রেরণ করুন ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-04
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,
https://allbanglaisbd.blogspot.com/ আপনাদের স্বাগতম !
আমি কেশব কুমার রায় । আজকে আমি আপনাদের সাথে কম্পিউটার প্রজন্ম সম্পর্কে পার্ট-০৪ এর কম্পিউটারের প্রজন্ম ( computer 💻 generation) নিয়ে আলোচনা করবো ।
👉 পার্ট-০৪ (part-04)
🌏 কম্পিউটারের প্রজন্ম ( computer 💻 generation)🌏
প্রিয়ো পাঠকবিন্দু,আমরা সকলেই জানি কম্পিউটার একটি বহুল ব্যবহ্ত বিস্ময়কর ইলেকট্রোনিক যন্ত্র । আর কম্পিউটারের ভাষায় 'প্রজন্ম' বলতে কম্পিউটার প্রযিক্তির বিভিন্ন ধাপ বা অধ্যায়কে বোঝায় । এটি কম্পিউটার শিল্পের বিভিন্ন সমায়ে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ধারাবাহিক বিবর্তন বা কাঠামোকে নির্দেশ করে । মোটকথা, কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রাথমিক সমায় হতে বর্তমান সমায় পর্যন্ত বিভিন্ন সমায়ে যে মৌলিক তথা গুরুপ্তপূর্ণ পরিবর্তন ও উন্নায়ন সাধিত হয়েছে তাকে কম্পিউটার জেনেরেশন বা প্রজন্ম নামে অভিহিত করা হয় । কম্পিউটারের প্রজন্ম বিন্যাসের ক্ষেত্রে সমায় নিয়ে কিছুটা মতভেদ থাকলেও এদের বৈশিষ্ঠ্যগত তেমন কোন পার্থক্য নেই । প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সংগতি রেখে কম্পিউটার প্রজন্মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় । যথা:
☑১. প্রথম প্রজন্ম (First Generation)=১৯৪৮-১৯৫৮;
☑২. দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second Generations)=১৯৫৮-১৯৬৫;
☑৩. তৃতীয় প্রজন্ম ( Three Generations)=১৯৬৫-১৯৭১;
☑৪.চতুর্থ প্রজন্ম (Four Generations)=১৯৭১-বর্তমান;
☑৫. পঞ্চম প্রজন্ম ( Five Generations)=ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ।
☑১. প্রথম প্রজন্ম (First Generation,১৯৪৮-১৯৫):-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পর হতে অর্থাৎ ১৯৪৮ সাল হতে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত সমায় কালকে প্রথম প্রজন্ম নামে অভিহিত করা হয় । এ সমায়ে প্রথম দিককার (early stage) গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারগুলো উদ্ভাবিত হয়েছে । এ প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে । যেমন-
(i). ভ্যাকুয়াম টিউবের ব্যাবহার ।
(ii). উত্তাপজনিত সমস্যা ।
(iii). বিশাল আকৃতি বিশিষ্ট এবং অত্যাধিক ওজন ।
(iv). সহযে স্থানান্তর করা যেত না ।
(v). চুম্বকীয় ড্রাম মেমরি ব্যাবহার ।
(vi). পাঞ্চকার্ড জাতীয় ইনপুট আউটপুট সামগ্রীর ব্যাবহার ।
(vii). সীমিত ডেটা ধারণ ক্ষমতার অধিকারী ।
(viii). অত্যাধিক বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হতো (130-140KW) ।
(ix). ধীর গতিসম্পর্ণ ।
(x). অনুন্নত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাবস্থা ইত্যাদি ।
🔴উদাহরণ: ENIAC,UNIVAC,Mark-I,mark-ii, IBM-704 ইত্যাদি ।
🔵ব্যাবহার: দাম,প্রযুক্তিগত সমস্যা ও অন্যান্য অসুবিধার কারনে খুবেই সীমিত পর্যায়ে ব্যাবহার করা হতো । বিশেষকরে গবেষণাগারে ।
☑২. দ্বিতীয় প্রজন্ম ( Second Generations,১৯৫৮-১৯৬৫):-
১৯৪৭ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে কর্মরত বিজ্ঞানী জন বারডেন (John Bardeen), উইলিয়াম শর্কলি ( William Shorkley) এবং ওয়াল্টার ব্রাটেন (Walter Brattain) ট্রানজিস্টর আবিস্কার করে ইলেকট্রোনিক জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন । আর এই ট্রানজিস্টরের আবিস্কার কম্পিউটারের জগতে এক যুগান্তকারী ও বিস্ময়কর সাফল্য এনে দেয় । ফলে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো অধিক নির্ভরযোগ্য,কম বিদ্যুৎ খরচ,ওজনে হালকা এবং দামেও সহজলভ্য হয় । এ প্রজন্মের কম্পিউটারগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে । যেমন-
(i). ট্রানজিস্টরের ব্যাবহার ।
(ii). আকৃতির ব্যাপক সংকোচন ।
(iii). উত্তাপ জাতীয় সমস্যার অবসান ।
(iv). নির্ভরযোগ্যতার উন্নতি ।
(v). অধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ।
(vi). প্রথম প্রজন্ম অপেক্ষা প্রায় দশ গুন গতিসম্পর্ণ ।
(vii). উন্নতমানের ইনপুট আউটপুট সামগ্রীর ব্যাবহার ।
(viii). চুম্বকীয় কোর মেমরির ব্যাবহার ।
(ix). উচ্চতর ভাষার প্রচলন ( FORTRAN, COBOL, ALGOL) ইত্যাদি ।
🔴উদাহরন: IBM-1620, IBM-1400, NCR-300, GE-200 ইত্যাদি ।
🔵ব্যবহার: বিভিন্ন গবেষণাগার,শিল্প প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে সীমিতো পর্যায়ে ব্যবহার করা হতো ।
☑৩. তৃতীয় প্রজন্ম ( Third Generations,১৯৬৫-১৯৭১):-
তৃতীয় প্রজন্মের সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ণ ও বিস্ময়কর সংযোজন হলো IC ( Integrated Circuit ) ব্যবহার । ১৯৫৮ সালে Jack. St. Clair Kilbly এবং Robert Noyee প্রথম IC আবিস্কার করে ইলেকট্রনিক জগতে যুগান্তকারি পরিবর্তনের সূচনা করেন । মাইক্রোইলেকট্রনিক্সের অগ্রযাত্রা তখন থেকেই শুরু হয় । IC হলো অনেকগুলো ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট (Electronic Componeent) বা উপাদান । যথা :
ট্রানজিস্টর (Transistor), রেজিস্টর ( Resistor), ক্যাপাসিটর ( Capacitor), ইন্ডাকটর ( Inductor) ইত্যাদি বিশেষ প্রযুক্তিতে একটি একক চিপের (single chip) মধ্যে সমন্বয় ( Fabricate) করে তৈরি সিলিকন চিপ । এটি আয়তন বা আকারে সাধারনত ৫ বর্গ মি.মি. বা তার চেয়েও কম ।
তৃতীয় প্রজন্মের গুরুপ্তপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে । যথা:
(i). IC এর বহুল ব্যবহার ।
(ii). আকৃতির ব্যাপক সংকোচন ( মাইক্রো ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ) ।
(iii). নির্ভরযোগ্যতার অধিক উন্নতি ।
(iv). কম্ফিউটারের ক্ষমতা ও গতি বৃদ্ধি ।
(v). উচ্চতর ভাষার উন্নায়ন ও ব্যবহার ।
(vi). ভিডিও ডিসপ্লে ইউনিট ( Video Display Unit) ও উচ্চ গতিসম্পন্ন প্রিন্টারের ব্যবহার ।
(vii). মাউসের প্রচলন ।
(viii). মিনি কম্পিউটারের আবির্ভাব ।
(ix). টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভব এবং ব্যবহার ইত্যাদি ।
🔴 উদাহরন: IBM-360, IBM-370, PDP-8, PDP-||, GE-600 ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার: তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো শক্তিশালী, দামে সস্তা, সহযে বহন যোগ্য হাওয়ায় এর বহুবিধ ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় । যেমন; বিভিন্ন গবেষনাগার, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিল্প-প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাক্ষেত্র,সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে এর বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।
☑৪. চতুর্থ প্রজন্ম ( Forth generations,১৯৭১-বর্তমান ):-
কম্পিউটার প্রযুক্তিতে নাটকীয় পরিবর্তন ও নবযুগের অগ্রযাত্রা শুরু করে যে ইলেকট্রনিক ডিভাইসটি তা হলো মাইক্রোপ্রসেসর ( Micro Processor ) । মাইক্রোপ্রসেসর আবিস্কার কম্পিউটারের প্রযুক্তি ও ব্যবহারকে বহুগুন বাড়িয়ে দেয় । মাইক্রোপ্রসেসর হলো VLSI ( Very Large Scale Integration) প্রযুক্তিতে তৈরি সিলিকন চিপ যেটি এক মিলিয়নের অধিক বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টের যথা: ট্রানজিস্টর,রেজিস্টর,ক্যাপাসিটর,ডায়োড,SCR ইত্যাদি সমন্বয়ে তৈরি । মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার জগতে এক অবিশ্বাস্য পরিবর্তনের সূচনা হয় । যার প্রভাবে আমাদের ব্যাক্তিগত,সামাজিক,রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রিয় জীবনে এক নতুন দ্বার উন্মোচন করে । এ প্রজন্মে সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও অনবদ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে । বর্ণভিত্তিক (Text Based) অপারেটিং সিস্টেমুর পরিবর্তে চিত্রভিত্তিক GUI ( Graphical User Interface) অপারেটিং সিস্টেমের প্রচলন শুরু হয় । চতুর্থ প্রজন্মের গুরুপ্তপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে । যথা:
(i). মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার ( VLSI প্রযুক্তি ) ।
(ii). আকৃতিক অধিকতর সংকোচন ।
(iii). নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপক উন্নতি ।
(iv). চুম্বকীয় বাবল মেমরির ব্যবহার ।
(v). মাইক্রো কম্পিউটারের প্রসার ও মেইনফ্রেম কম্পিউটারের প্রচলন ।
(vi). উন্নত প্রোগ্রাম সামগ্রি ব্যবহার ।
(vii). প্যাকেজ প্রোগ্রামের প্রচলন ।
(viii). ইন্টারনেট সহ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার চালু ।
(ix). প্যারালাল প্রসেসিং এর কারনে কম্পিউটারের কাজের গতি বৃদ্ধি ইত্যাদি ।
🔴 উদাহরন:- IBM-3033, HP-3000, IBM PC, Pentium-l ,ll,lll,IV ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার:- কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গনজোয়ার সৃষ্টি হয় মূলত চতুর্থ প্রজন্মেই । আমাদের দৈনিন্দিন ব্যাক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবনের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে কম্পিউটারের সরব ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না । মোটকথা আধুনিক নাগরিক,রাষ্ট্রীয় জীবনে কম্পিউটার ছাড়া অচল ও অকল্পনীয় ।
☑৫. পঞ্চম প্রজন্ম ( Fifth Generations, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ) :-
পঞ্চম প্রজন্ম বলতে প্রকৃত অর্থে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেই বোঝায় । বিশ্ব সভ্যতা যত সামনের দিকে এগুচ্ছে,প্রযুক্তি তত উন্নতর হচ্ছে । এই প্রজন্মে 'মুরস ল' ( moore's law ) দারুনভাবে প্রযোয্য । মুরসের প্রাপ্ত গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি ১৮ মাসে মাইক্রোপ্রসেসরের এবং মেমরি ,হার্ড ডিস্কসহ অন্যান্য গুরুপ্তপূর্ণ দিভাইসের গতি দ্বিগুন হচ্ছে । এবং সে সঙ্গে এদের মাত্রা বা ডাইমেনশন (Dimension) কমে অর্ধেক হচ্ছে যা 'মুরস ল' নামে খ্যাত । এ প্রজন্মের বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে । যেমন:
(i). বহু মাইক্রোপ্রসেসর বিশিষ্ট্য একীভূত বর্তনীর ব্যাবহার (ULSI প্রযুক্তি) ।
(ii). অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিসম্পন্ন ।
(iii). বিপুল ক্ষমতা সম্পূর্ণ ।
(iv). কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্তাসম্পন্ন (Artificial intelligence) ।
(v). চার্জড ক্যাবল মেমরি ব্যাবহার ।
(vi). ডেটা ধারন ক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি ।
(vii). স্বয়ংক্রিয় অনুবাদ ও শ্রবনযোগ্য শব্দ দিয়ে কম্পিএটারের সাথে সংযোগ পরিচালনা ।
(viii). অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার ।
(ix). সুপার কম্পিউটারের প্রচলন ও প্রসার ।
(x). প্রোগ্রাম সামগ্রীর অভূতপূর্ব উন্নয়ন ইত্যাদি ।
🔴 উদাহরন: USA তৈরি ETA-02P, জাপানের নিপ্পন কোম্পানির তৈরি SUPPER SXII, ভারতের তৈরি PARAM ইত্যাদি ।
🔵 ব্যবহার: মহাকাশ গবেষণা,জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিকম্পন জনিত কারন বিশ্লেষন,AIDS ও কভিড-১৯ ( Covid-19) এর মতো জঠিল ও কঠিন রোগের সুস্পষ্ট কারন ও তার প্রতিকারের ব্যবস্থা, পারমাণবিক ও প্রতিরক্ষা সংক্রন্ত কাজে ব্যবহার প্রভূতি ।
প্রিয় পাঠকবিন্দু, পরের পার্ট-০৫( part-05) কম্পিউটারের প্রকারভেদ (Classification of computer 💻) সম্পর্কে আলোচনা করবো ।
পরের পার্ট গুলো সহজে এবং আগে পেতে আমার https://allbanglaisbd.blogspot.com/ এই ব্লোকটি সাসক্রাইব-subscribe করুন । আর কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করুন । কমেন্ট আপনার বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ।
সকলকে ধন্যবাদ ! Please Stay at home 🏠 and be careful.
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-03.
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to computer 💻. part-02
কম্পিউটার পরিচিতি-Introduction to Computer
This moment is pain
১. সমস্যা ছাড়া সৃজনশীল সমাজ আশা করা বৃথা ☑☑শিশুর জন্মের শুরুতে তাকে ঘিরে বাবা-মাসহ সবাই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে এবং শেষে বিশ্বজুড়ে প...